ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে মুজাহিদ (২৮) নামের ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতাকে মাদকসহ ধরে পুলিশে দেওয়ার পরদিন থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস টাকার বিনিময়ে মুজাহিদকে ছেড়ে দেন। তবে ওসির দাবি, মাদক মামলা দেওয়ার মতো আলামত মুজাহিদের কাছে ছিল না।
মুজাহিদ দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের বাঘারচর মধ্যপাড়ার বাসিন্দা এবং ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত শনিবার সকাল ৮টার দিকে ডাংধরা ইউনিয়নের গোয়ালকান্দা গ্রামের খোকা মিয়ার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর ইয়াবা বড়িসহ মুজাহিদকে আটকে রেখে সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে খবর দেন এলাকাবাসী। খোকা মিয়া মাদক মামলায় কারাগারে আছেন। দুপুর ১২টার দিকে ওই তদন্তকেন্দ্রে পুলিশ গিয়ে মুজাহিদকে আটক করে হাজতখানায় রাখে। পরদিন রোববার ভোর ৫টার দিকে তদন্তকেন্দ্র থেকে মুজাহিদকে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় পাঠানো হয়।
ছাড়া পাওয়ার পর মুজাহিদ বলেন, ‘আমাকে সন্দেহমূলকভাবে আটক করে পুলিশ দেন স্থানীয়রা। মূলত আমার কোনো দোষ ছিল না।’
সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের আইসি মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘মুজাহিদের কাছে ইয়াবা বড়ির গুঁড়া পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলো জব্দ তালিকা করে মুজাহিদকে থানায় পাঠাই।’
ওসি বিপ্লব কুমার বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। মুজাহিদের কাছে ইয়াবাসদৃশ গুঁড়া পাওয়া গিয়ে ছিল। গুঁড়াগুলো প্রকৃত ইয়াবার কি না, তাও বোঝা যাচ্ছিল না।’