ময়মনসিংহের মাসকান্দায় বিসিক শিল্প নগরীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে হেকেম বাংলাদেশ কীটনাশক গোডাউনে আগুন লাগে। পরে তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে কারখানার পাশেই বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড কালো ধোয়া দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পরি। পরে দেখি কীটনাশক তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। আমরা তা নেভানোর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। ততক্ষণে আগুনের প্রচণ্ড ভয়াবহতা বেড়ে যায়। কারখানার ভেতরে থাকা ড্রামগুলো প্রচণ্ড বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হচ্ছিল।’
বালাইনাশকের ময়মনসিংহের এরিয়া ম্যানেজার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘কীটনাশক তৈরির সব ধরনের দ্রব্য এই কারখানায় রাখা হতো। সেটি তালা দেওয়া থাকত। ভেতরে প্রচুর মালামাল ছিল। শুধু একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানো থাকত সারা দিন। আর একজন গার্ড সেটি পাহারা দিতেন। তবে আগুন কীভাবে লেগেছে তা বুঝতে পারছি না।’
কারখানাটির ব্যবস্থাপক জামাল উদ্দিন বলেন, কীটনাশক তৈরির কাঁচামাল সংরক্ষণ করে পাশের কারখানায় প্যাকেজিং করা হতো। এসব কাঁচামাল ব্যয়বহুল। তা বিভিন্ন দেশ থেকে সংরক্ষণ করা হতো। গুদাম ভর্তি মালামাল ছিল। কীটনাশক তৈরির ধার্য পদার্থে হঠাৎ আগুন লাগলে মুহূর্তেই তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এতে কারখানাটি পুরোপুরিভাবে ভস্মীভূত হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা হিসাব না করে বলা যাবে না।
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় পানির সংকটের কারণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়। তবে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় পানি এবং ফোমের সাহায্যে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। কীটনাশকের কারখানা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তদন্তের পর আগুন লাগার কারণ জানা যাবে।