জামালপুরের বকশীগঞ্জে হাসান আলী (২৬) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঈদের দিন বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের বান্দের পাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে হাসান আলীর লাশ উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ লাশের পাশে একটি চিঠি পায়।
হাসানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হাসান আলী ঈদের নামাজ পড়ে স্ত্রী আফরোজার সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়ে স্ত্রীকে পাশের গ্রাম জোলাপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দেন। রাতে তাঁর শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরদিন শুক্রবার সকালে শ্বশুরবাড়ি না যাওয়ায় স্ত্রী আফরোজা স্বামীর বাড়ি চলে আসেন। এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে বেড়ার ফাঁক দিয়ে দেখেন স্বামী ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে। এ সময় তাঁর ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে বকশীগঞ্জ থানায় খবর দেয়। পরে বিকেলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এ সময় পুলিশ লাশের পাশে একটি চিঠি পায়। ওই চিঠিতে হাসান আলী লিখে গেছেন, ‘মা-বাবা, তোমরা ক্ষমা করে দিও। আমি মরার পরে আমার বউ আর মেয়েকে দেখে রেখো। আমি জানি, আমার বউ আমার সঙ্গে রাগ করেছে। ঈদের জন্য সবাই গুস্ত (মাংস) খাইছে। কিন্তু আমি গুস্ত খিলাইতে পারিনি। আমি আমার বউয়ের মুখ ঈদের দিন বেজার দেখলাম। যদি পারো ক্ষমা করে দিও। মা-বাবা, তুমরা আফরোজাকে কিছু বলবা না। কারণ আমি ওরে খুব ভালোবাসি। আমার মেয়েকে দেখে রেখো।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিবারের আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।