শেরপুরের শ্রীবরদীতে প্রবেশপত্র কেলেঙ্কারির ঘটনায় শেষ পর্যন্ত সেই ১৪ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় বসতে পেরেছে। জেলা প্রশাসকের (ডিসি) হস্তক্ষেপে শেষ মুহূর্তে প্রবেশপত্র পেয়ে তারা আজ বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের পরীক্ষায় অংশ নেয়। তবে রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় আরও তিনজন পরীক্ষা দিতে পারেনি।
পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা তিন শিক্ষার্থী হলো দিঘদারী গ্রামের ওয়াহেদ আলীর মেয়ে বিজলী আক্তার, পশ্চিম পিরিজপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে শান্ত ও খাটিয়াডাংগা গ্রামের শাহজামালের ছেলে সুমন।
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী শান্ত বলে, ‘আমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৭০০, ফরম ফিলাপের জন্য ৩ হাজার ৫০০ এবং প্রবেশপত্রের জন্য ২০০ টাকা দিয়েছি। তবু আজ আমি পরীক্ষা দিতে পারলাম না। স্যারদের গাফিলতির জন্য আমি বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে ব্যর্থ হলাম। আমি এর বিচার চাই।’
টাকা কার কাছে দিয়েছে জানতে চাইলে শান্ত বলে, গবরীকুড়া আকন্দ কলম আলী উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. সেলিম মিয়ার কাছে। ওই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমি ফরম ফিলাপের ৫৬ জনের সব টাকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দিয়েছি।’
গবরীকুড়া আকন্দ কলম আলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ওই তিনজন শিক্ষার্থীর নামে রেজিস্ট্রেশন হয়নি। রেজিস্ট্রেশন না হলে টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন, ‘কে টাকা নিয়েছে, আমি জানি না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া নাজনীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসক স্যারের হস্তক্ষেপে ১৪ জন শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র পেয়ে আজ পরীক্ষা দিচ্ছে। বাকি তিনজনের রেজিস্ট্রেশন হয়নি বলে জানিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবু কেউ টাকা নিয়ে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’