ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপির ইফতার অনুষ্ঠান পণ্ড করাকে কেন্দ্র করে পুলিশের হাতে পিটুনির শিকার হন ছাত্রলীগ নেতা মো. রায়হান, শামীমসহ আরও বেশ কয়েকজন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের মিয়া ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল হক মুন্নার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
আজ রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ওপর এ কর্মসূচি শুরু হয়ে চলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী।
উপজেলা ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে কর্মসূচিতে অংশ নেন—আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভকালে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন নেতাকর্মীরা। এতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন—উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি একে এম ফরিদউল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদুল ইসলাম ভূইয়া সুমন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সামী উসমান গণি, মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম বাবুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য শরিফুজ্জামান আকন্দ রানা, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল আমিন আকন্দ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিদম আহমেদ মোস্তাকিম, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান সিজান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুরাদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও জামায়াত আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা মিছিল বের করলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের মিয়ার নির্দেশে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল হক মুন্না, উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিমসহ পুলিশ সদস্যরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের লোহার রড দিয়ে ব্যাপক মারধর করেন। অনতিবিলম্বে ওসিসহ জড়িত পুলিশ সদস্যদের অপসারণ না করলে এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বক্তারা।
