ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। আজ রোববার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই গৃহবধূকে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গৃহবধূ মর্জিনা আক্তার (৩৩) ওই এলাকার শফিক মিয়ার স্ত্রী। তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নে বাগুয়া গ্রামে ওই নারীকে পিটিয়ে আহত করেন তাঁর স্বামী।
স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক কলহের জেরে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্বামী শফিক মিয়া উত্তেজিত হয়ে হাতের কাছে থাকা মোড়া দিয়ে তাসলিমার পিঠে সজোরে আঘাত করেন। এতে ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাসলিমার পরিবারের লোকজনকে খবর দেয় শফিক মিয়া।
পরে তাসলিমার স্বজনেরা আজ সকালে শফিক মিয়ার বাড়ি এসে জানতে পারে রাতে তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়নি। পরে তাঁরা তাসলিমাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাসলিমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে মর্জিনা আক্তারের শ্বশুর বাড়ি লোকজন পলাতক আছেন। এ বিষয়ে জানতে মর্জিনা আক্তারের স্বামী শফিক মিয়াকে মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
তাসলিমার ভাই ফজল মিয়া বলেন, ‘আমার বোনকে তুচ্ছ ঘটনায় তাঁর স্বামী পিটিয়ে মেরেছে। ময়নাতদন্ত শেষে রাতে লাশ দাফন করে থানায় অভিযোগ দেব।’
ওসি মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’