ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় শিশু নুসরাত জাহাম মীমকে (১১) প্রথমে একজন ধর্ষণ করে। পরে প্রথম জনের পাহারায় আরেকজন ধর্ষণ করে। প্রমাণ মুছে ফেলতে নুসরাতকে গলা টিপে হত্যার পর নেতাই নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভূঞা।
গত শনিবার সংঘবদ্ধ শিশু ধর্ষণের এ ঘটনায় গতকাল ধোবাউড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলো–জেলার ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুরের মাইলামপাড়া এলাকার ইউসুফ আলী (২০) ও অপরজন ১৩ বছরের এক শিশু।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ‘গত শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে কলসিন্দুর এলাকার খোকন মিয়ার শিশুকন্যা নুসরাত জাহাম মীম নিখোঁজ হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নেতাই নদী থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। মধ্যরাতে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পরদিন (১৯ মার্চ) ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি উল্লেখ্য করা হয়।’
গ্রেপ্তার আসামিদের বরাত দিয়ে মাছুম আহাম্মেদ ভূঞা বলেন, ‘গ্রেপ্তার ১৩ বছরের ওই শিশু ইউসুফের ঘনিষ্ঠ সহচর। ঘটনার দিন ইউসুফ ও তার সহচর নুসরাতের বাড়ির পাশে ওত পেতে থাকে। নুসরাত তাদের কাছাকাছি আসতেই মুখ চেপে ধরে পাশে কলার বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে নুসরাতকে প্রথমে গ্রেপ্তার ১৩ বছরের শিশু ধর্ষণ করে। পরে তার পাহারায় ইউসুফ ধর্ষণ করলে নুসরাত জ্ঞান হারায়। তারপর প্রমাণ মুছে ফেলতে নুসরাতকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নেতাই নদীতে মরদেহ ফেলে দেয় ঘাতকেরা।’
গ্রেপ্তার ইউসুফ ও তার সহযোগীকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান জেলা পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।