হোম > সারা দেশ > ময়মনসিংহ

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরোধে উত্তপ্ত আনন্দমোহন কলেজ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া, হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলেজের পরিবেশ। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পরস্পরকে অভিযুক্ত করেছে। ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। 

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর কলেজ রোড ও মীরবাড়ি এলাকায় সর্বশেষ ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া, হামলা, ভাঙচুর হয়। এ সময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান শিক্ষার্থী ও নেতা-কর্মীরা। তবে পুলিশ গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শেখ সজল বলেন, ‘গত ২৯ মার্চ আনন্দমোহন কলেজের পল্লী কবি জসীমউদ্‌দীন হলের ছেলেদের মধ্যে সামান্য ঝামেলা হয়। ওই ঘটনার জের ধরে গতকাল শনিবার ৩০ মার্চ নাজমুলের নেতৃত্বে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমাদের মীরবাড়ির বাসার দরজা, জানালা, গেটে ব্যাপক ভাঙচুর ও আমার একটি দোকান লুটপাট করে। এ সময় নাজমুল ও তাঁর লোকজন গুলি ও ককটেলের বিস্ফোরণের ঘটায়।’ 

কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা শেখ সজলের দোকান ও তাদের বাড়িতে হামলা করেন নাজমুল ও তাঁর লোকজন। তবে কোনো গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি বা কেউ আহত হয়নি। 

এ বিষয়ে আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী নাজমুল হোসেন জানান, ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন রানা, আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শেখ সজলসহ ৩৫-৪০ জন আবাসিক হলে এসে বিভিন্ন অপকর্ম করার চেষ্টা করতেন। বাধা দিলে তাঁদের সঙ্গে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত শুক্রবার বিকেলে ৩৫-৪০ জন পল্লী কবি জসীমউদ্‌দীন আবাসিক হলের ৩০৫ নম্বর রুমে প্রবেশ করে তাঁর সহপাঠী জুয়েল হাসান, নাজমুল হাসান, নাঈমদের পেয়ে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ সময় জুয়েল প্রতিবাদ করলে তাঁর বাঁ চোখে ছুরিকাঘাত করে। তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

নাজমুল বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আবার একই হলে প্রবেশ করে আমার ট্রাংকে থাকা নগদ ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ সময় মইনুল ইসলাম ঢালী বাধা দিতে গেলে চাপাতি দিয়ে কোপ দিলে তার চোখের ওপরে লেগে গুরুতর আহত হয়। মুরাদ নামে আরও একজনকে কুপিয়ে ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুল কেটে ফেলে।’ 

নাজমুল বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ১২ জনকে আসামি করে কোতোয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। 

নাজমুল দাবি করেন, শনিবার রাতে তিনি ক্যাম্পাসে ছিলেন না। কাজেই ওই হামলা হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনায় তাঁদের সম্পৃক্ততা নেই। মামলা থেকে বাঁচতে এটা তাদের সাজানো নাটক। 

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিনের দেওয়া কয়েকটি কমিটি অবৈধ। এসব অবৈধ কমিটির বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। 

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, নাজমুল নামের একটা ছেলে আছে। তার লোকজন নিয়ে শেখ সজলের দোকান ও বাড়ি ঘরে হামলা করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। 

ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, শুক্রবারের ঘটনায় নাজমুল বাদী আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শেখ সজলসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ময়মনসিংহে নিহত দীপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক, স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস

পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন: গ্রেপ্তার ১২ আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড

নড়বড়ে বাঁশে ঠেস দেওয়া ৪৮০ ভোল্টের খুঁটি

বিস্ফোরক মামলায় সাবেক এমপি সারোয়ার কারাগারে

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন: আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

দিপুকে হত্যার পর ঝুলিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেপ্তার

দিপু চন্দ্রকে জোরপূর্বক চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেওয়া হয়: র‍্যাব

ময়মনসিংহের নান্দাইল: নদীর জায়গা দখল করে আ.লীগ নেতার মার্কেট

দিপুকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশে আগুন