প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ‘কালোটাকা’ ছড়ানোর অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবদুল মালেক ফরাজী। আজ শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
আবদুল মালেক ফরাজী বলেন, ‘ত্রিশালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানী ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ বি এম আনিছুজ্জামান নির্বাচনে বেধে দেওয়া পরিমাণের চেয়ে বহুগুণ বেশি টাকা খরচ করছেন। নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনী খরচ ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও, এ দুই প্রার্থীর পোস্টার বাবদই খরচ ন্যূনতম ১২ লাখ করে টাকা। প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য প্রতিদিনের নির্বাচনী খরচ হিসাবে তাঁরা দিচ্ছেন ৩০ হাজার করে টাকা এবং প্রতিদিন ৫০০ প্যাকেট করে বিরিয়ানি। সব মিলিয়ে এ দুই প্রার্থী নির্বাচনে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা খরচ করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কালোটাকা ছড়ানোর কারণে ভোটাররা চাইলেও আমাকে ভোট দিতে পারবেন না। কাজেই আমি এ নির্বাচন প্রত্যাহার করলাম। যদিও এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন বর্জনের সুযোগ নেই, তবু আমি ঘোষণা দিয়ে এ নির্বাচন বর্জন করলাম। পাশাপাশি আমার ভোটারদের কাছে ক্ষমা চাইলাম।’
‘কালোটাকা’ ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ে সংশিষ্ট কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মালেক ফরাজী বলেন, ‘অভিযোগ করে কোনো লাভ হতো না, যে কারণে কোনো অভিযোগ করিনি।’
ময়মনসিংহ-৭ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানী (নৌকা), জাতীয় পার্টির মো. আবদুল মজিদ (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র এ বি এম আনিছুজ্জামান (ট্রাক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।