হোম > সারা দেশ > ময়মনসিংহ

হালুয়াঘাটে শিক্ষকের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যের ওপর হামলা

হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 

হামলার শিকার বিজিবি সদস্য মিজানুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্যকে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আহত বিজিবি সদস্যের নাম মিজানুর রহমান (৩২)। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মিজানুর কুমিল্লা বিজিবিতে সিগন্যালম্যান হিসেবে কর্মরত। ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন।

মিজানুর রহমানকে বাঁচাতে এসে তাঁর বড় বোন হালিমা খানম (৩৩) ও খালাতো ভাই হেমায়েত (২০) হামলার শিকার হন। মিজানুর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের পূর্ব পাবিয়াজুড়ী গ্রামের মৃত আ. হালিম খান মাস্টারের ছেলে।

এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে মিজানুর রহমানের মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জনকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেছেন। এ মামলায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার বলাশপুর এলাকার মৃত আব্বাছ আলীর ছেলে শরিফ মিয়াকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে মিজানুর রহমান ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তাঁর বাড়ির পাশে পূর্ব পাবিয়াজুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ওয়াশ ব্লকের কাজ করছিল শ্রমিকেরা। নির্মাণাধীন ওয়াশ ব্লকের সঙ্গেই মিজানুর রহমানের ধানখেত। সেখানে লাগানো ধানগাছগুলো এ কাজের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বিষয়টি তিনি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তারকে অবহিত করলে তাঁর সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়। পরে আব্দুস সাত্তারের নির্দেশে শ্রমিকেরা দা, লাঠি ও রড নিয়ে মিজানুর রহমানের ওপর হামলা চালায়। মিজানুরকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁর বোন হালিমা খানমকেও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তা ছাড়া মিজানুরের কলেজপড়ুয়া খালাতো ভাই এগিয়ে এলে তাঁকেও আঘাত করা হয়।

মামলার বাদী শিরিনা আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলে চাকরি থেকে ছুটিতে বাড়ি এসেছে। সে বাড়ি থেকে খুব একটা বের হয় না। আমাদের ফসলি জমি নষ্ট করে স্কুলের কাজ করছে। আমার ছেলে শুধু প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানাতে গেলে আব্দুস সাত্তার শ্রমিকদের নিয়ে আমার ছেলেকে মেরে ফেলার জন্য এ হামলা করে। আমার মেয়ে ও বোনের ছেলে এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করে। আমি ঘটনা শুনে দৌড়ে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় আমার ছেলেকে জড়িয়ে ধরি। তার রক্তে আমার কাপড় লাল হয়ে যায়। কিন্তু হামলাকারীরা আমাকেও আঘাত করতে থাকে। আশপাশের মানুষ এগিয়ে এলে তারা তখন পালিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

এ ব্যাপারে পূর্ব পাবিয়াজুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আ. সাত্তার বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। ঘটনার দিন আমি বিদ্যালয়েই ছিলাম না। উপজেলা শিক্ষা অফিসে ছিলাম শিক্ষার্থীদের বই নেওয়ার জন্য। পরে শুনেছি বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক তৈরি করতে আসা শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের এই ঘটনা ঘটে।’

হালুয়াঘাট থানার ওসি মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘সংবাদ পাওয়ার পরই আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করি। বাকি আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

ময়মনসিংহে নিহত দীপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক, স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস

পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন: গ্রেপ্তার ১২ আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড

নড়বড়ে বাঁশে ঠেস দেওয়া ৪৮০ ভোল্টের খুঁটি

বিস্ফোরক মামলায় সাবেক এমপি সারোয়ার কারাগারে

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন: আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

দিপুকে হত্যার পর ঝুলিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেপ্তার

দিপু চন্দ্রকে জোরপূর্বক চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেওয়া হয়: র‍্যাব

ময়মনসিংহের নান্দাইল: নদীর জায়গা দখল করে আ.লীগ নেতার মার্কেট

দিপুকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশে আগুন