শেরপুরে হয়ে গেল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত নাটক ‘শিল্পী’। গতকাল সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ও শেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় নাটকটি মঞ্চস্থ হয়।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আল জাবিরের নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও শেরপুরের একঝাঁক নাট্যশিল্পী নাটকটিতে অভিনয় করেছেন।
নাটকের মুখ্য চরিত্র চিত্রকরের অভিনয় করেছেন গণমাধ্যমকর্মী ইমরান হাসান রাব্বী। লাইলী চরিত্রে ছিলেন নাট্যকলা বিভাগের তাহমিনা হিরা ও চিত্রা চরিত্রে আরিফা জাহান সুইটি। চিত্রকরের কৈশোরে অপূর্ব, চিত্রা চরিত্রে রোদেলা আর চিত্রকরের বার্ধক্যে দেবাশীষ চন্দ বাবু অভিনয় করেছেন। নাটকের সেট ডিজাইন, কোরিওগ্রাফি ও লাইটিংয়ের কাজ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের নাট্যকলা ও চারুকলার শিক্ষার্থীরা, যা সবার দৃষ্টি কাড়ে।
নাটকের নির্দেশক আল্ জাবির বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের শিল্পী নাটকটি প্রায় ১০০ বছর আগে রচিত। নাটকটিতে শিল্পী জীবনের ব্যক্তিজীবন এবং কর্মজীবনের যে সংকট ও দ্বন্দ্ব সেটি মঞ্চে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রঙে, রূপে ও আবহের মধ্য দিয়ে। শিল্পকলাসহ সকলের অব্যাহত সহযোগিতা পেলে শেরপুরের নাট্যাঙ্গন আরও এগিয়ে যাবে।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল্লাহ আল খায়রুম বলেন, জাতীয় কবির অনবদ্য সৃষ্টি শিল্পী নাটক। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় শেরপুরের একঝাঁক অভিনয়শিল্পী দারুণ অভিনয় করেছেন। সবাই নাটকটি সবাই উপভোগ করেছেন।
নাটক চলাকালে শেরপুরের ডিসি আব্দুল্লাহ আল খায়রুম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক তোফায়েল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনিরুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহনাজ ফেরদৌস, জেলা কালচারাল অফিসার আতিকুর রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।