জাককানইবি (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
বাংলাদেশের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতের পুরুলিয়ার সিধু-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দু্ই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীরা যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ বিষয়ে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর ও সিধু-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নচিকেতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পাঁচ বছর মেয়াদে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনলাইনে আয়োজিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর, ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের অতিরিক্ত পরিচালক রাশেদুল আনাম ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. তুহিনুর রহমানসহ অন্যরা। সিধু-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক দীপক কুমার কর, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নাড়–গোপাল দে সহ অন্যরা।
অনুষ্ঠানে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য সিধু-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। কেননা বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর আঞ্চলিক নয়, এটি বিশ্বময়। ফলে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিকভাবে আমরা উপকৃত ও উন্নত হতে পারি।’
ড. সৌমিত্র শেখর আরও বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীরা যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন এবং পরস্পরের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারবেন। তাই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর সেটি কাগজে কলমে না রেখে তা বাস্তবায়নের দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে।’
সিধু-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক দীপক কুমার কর বলেন, ‘সিধু-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রান্তিক জেলার বিশ্ববিদ্যালয়। মাত্র ১০ বছর হলো যাত্রা শুরু করেছি। তাই আজকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এটি আমাদের নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য নতুন সুযোগের সৃষ্টি করেছে।’
উল্লেখ্য, পাঁচ বছর মেয়াদে স্বাক্ষরিত এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়, তরুণ গ্রাজুয়েটদের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ-কর্মশালা আয়োজনসহ ১২টি ক্ষেত্রে একে অন্যকে সহযোগিতা করবেন।