শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কের মিনি চিড়িয়াখানার একমাত্র চিত্রা হরিণটি জবাই করে খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাদশা মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। পরে তাঁর জবানবন্দির ভিত্তিতে জবাই করা হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
গত রোববার রাতে হরিণ জবাইয়ের ঘটনার পর গতকাল সোমবার সকালে বাদশা মিয়াকে আটক করা হয়। পরে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ মঙ্গলবার তাঁকে শেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। বাদশা মিয়া উপজেলার বাতকুচি গ্রামের বাসিন্দা।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ বন বিভাগের আওতাধীন মধুটিলা ইকোপার্কের ভেতরে মিনি চিড়িয়াখানায় থাকা দুটি হরিণের মধ্যে একটি মারা যায়। যার মরদেহের অংশবিশেষ গত ৯ এপ্রিল পার্কের ভেতরেই পাওয়া যায়। পরে ওই হরিণটি শিয়াল খেয়ে ফেলেছে বলে জানান বন কর্মকর্তারা।
এদিকে চিড়িয়াখানার একমাত্র চিত্রা হরিণটি গত রোববার রাতে বাতকুচি নামাপাড়া এলাকার কয়েকজন দুর্বৃত্ত মিলে চুরি করে জবাই করার পর ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেয়। পরে গতকাল সোমবার ভোরে বিষয়টি টের পেয়ে বন বিভাগের লোকজন তদন্তে নামে। সকালে বাতকুচি বাজার থেকে ওই গ্রামের বাদশা মিয়াকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে বাদশা মিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাঁর পুকুর থেকে জবাই করা হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়।
এদিকে প্রাপ্তবয়স্ক হরিণটি জবাই করার পর ৫০ কেজির মতো মাংস পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ অনুযায়ী শেরপুর আদালতে একটি মামলা করে আজ মঙ্গলবার আটক বাদশাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। হরিণ জবাইয়ের ঘটনায় সাত-আটজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদেরও আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।