Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ময়মনসিংহ

সাবেক তথ্যমন্ত্রী আজাদের নামে আদালতে লুটপাটের মামলা

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি  

সাবেক তথ্যমন্ত্রী আজাদের নামে আদালতে লুটপাটের মামলা
আবুল কালাম আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক তথ্যমন্ত্রী আ.লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, তাঁর ভাই-ভাতিজাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে জমি দখল ও লুটপাটের অভিযোগে জামালপুর আদালতে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার জেলার বকশীগঞ্জ আমলি আদালতে সিদ্দিকুর রহমান নামের সাবেক এক ইউপি সদস্য বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আদালত সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ (৬৫), তাঁর ছোট ভাই গোলাম মোস্তফা (৫৫), নজরুল ইসলাম (৫৮), মোফাজ্জল হোসেন (৫২) এবং ভাতিজা রেজাউল করিম (৫২)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী সিদ্দিকুর রহমান ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত উপজেলার মেরুরচর ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যপদে দায়িত্ব পালন করেছেন। মামলার প্রধান আসামি আবুল কালাম আজাদ জামালপুর-১ আসন থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ ছাড়া তিনি সাবেক সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেছেন, আসামিরা সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ এবং ভূমি দখলকারী। ১ নম্বর আসামি আবুল কালাম আজাদের ছত্রচ্ছায়ায় এবং ক্ষমতায় ভূমি দখলসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং চাঁদাবাজি কার্যকলাপ পরিচালনা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর ১ নম্বর আসামির হুকুমে বাকি আসামিরা দা, লাঠি, ফালা, হ্যামার, লোহার খোন্তা, কুড়াল, ক্ষুর, চাকু, হাতুড়ি দিয়ে বাদীর বসতবাড়ি ভেঙে নিয়ে যায়।

এতে বাধা দিলে বাদীসহ মামলায় সাক্ষীদের খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় বাদীর বিল্ডিং ঘরটি ভেঙে ৮ লাখ টাকার ক্ষতি করে।

এ ছাড়া ধান-গম ভাঙার হলারসহ সব সরঞ্জামা, আলমারিতে থাকা ৬ লাখ টাকা মূল্যের ৪ ভরি ওজনের সোনার অলংকার, জমিতে রোপণ করা ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৩৬টি মূল্যবান কাঠের গাছ এবং ৩০ শতাংশ জমির পাকা ধান চুরি করে নেন আসামিরা। পরবর্তী সময়ে বাদী থানায় মামলা করতে গেলে আসামিরা রাজনৈতিক প্রভাবে তা করতে দেননি।

বাদী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘জমি দখলসহ লুটপাটের ঘটনায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদসহ তাঁর চার ভাই এবং ভাতিজার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি। আবুল কালাম আজাদ আমার বাবার চাচাতো ভাই।

তিনি ১৯৯৭ সালে এমপি থাকাকালে ৪১ শতাংশ কৃষিজমি আমার কাছে বিক্রি করেন। পরবর্তী সময়ে কয়েকবার জমি বেদখল করেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা করলে আবুল কালাম আজাদ ২০০৯ সালে বকশীগঞ্জ থানার একটি হত্যা মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে পুলিশ দিয়ে আমাকে গ্রেপ্তার করান। আমি তিন মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পাই।’

এরপর তিনি তাঁর আত্মীয়স্বজনদের দিয়ে একে একে পাঁচটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে পুলিশ দিয়ে আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠান। এসব ঘটনা এলাকাবাসী জানেন। তবে আসামিরা আত্মগোপনে থাকায় এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আশরাফুল হক আলাল বলেন, ‘শুনানি শেষে মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দিয়েছেন বিচারক।’

বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ‘মামলা করার বিষয়টি আমি অবগত নই। মামলার কাগজপত্র হাতে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ভবনের কাজ ফেলে ঠিকাদার উধাও

শেরপুরে নিখোঁজের ২ দিন পর মরিচখেতে মিলল নারীর বিবস্ত্র লাশ

জনগণ সাফার করছে, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিন: ডা. শফিকুর রহমান

যমুনার ভাঙনের মুখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আতঙ্কে নদীর পাড়ের মানুষ

মির্জা আজমের সাবেক এপিএস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত

তৃতীয় শ্রেণিতেও বৃত্তি দেওয়া হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব

হত্যা করে লাশ মাটিচাপায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, অপরজনের যাবজ্জীবন

রওশন এরশাদের ‘সুন্দর মহল’কে ‘দালাল মহল’ ঘোষণার দাবি

জজের বাসা থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার ও টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

আগস্টে হত্যা মামলার সেই বাদীর এবার লাশ উত্তোলনে বাধা, ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট