জাককানইবি প্রতিনিধি
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের প্রতিবাদে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিক্ষোভ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার বেলা আড়াইটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা চত্বরে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে ব্যানার পোস্টার হাতে শিক্ষার্থীরা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, স্বাধীন এই বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘’১৮ সালের পরিপত্র, পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটা বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। দাবি আদায় না হলে পরবর্তীকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারিও দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এই বৈষম্যমূলক কোটা প্রথা মানি না। কোটার কারণে মেধাবীরা সঠিক মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ৮০ পেয়েও চাকরি পাবে না, আর কোটাধারীরা সহজেই পাস না করেও চাকরি পাবে, এই বৈষম্য সংবিধান পরিপন্থী।’
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘কোটা পদ্ধতি চালু থাকলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গা মেধাহীনদের দখলে চলে যাবে, বেড়ে যাবে দুর্নীতি। দেশ স্বাধীন হয়েছে বৈষম্য রোধ করতে, কিন্তু কোটা পদ্ধতি সেই বৈষম্য সৃষ্টি করছে। আমরা এই বৈষম্য বন্ধের আন্দোলন করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখব।’
উল্লেখ্য, দাবির মুখে ২০১৮ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করলে গত ৫ জুন (বুধবার) সরকারি পরিপত্রটিকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীকালে সেটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও বহাল থাকে। এর পর থেকেই এই রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।