প্রবাসে যাওয়ার তিন মাসের মাথায় লাশ হয়ে দেশে ফিরলেন জামালপুর মাদারগঞ্জের ফরিদুল ইসলাম (২৬)। আরব সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবি ঘটলে ফরিদুলও তলিয়ে যান। পরে চার দিন পর তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে সে দেশের উদ্ধারকারী দল।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টায় ফরিদুল ইসলামের মরদেহ ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। মরদেহ গ্রহণ করেন তাঁর চাচাতো ভাই সাদেক আকন্দ। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে রওনা দিলে আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে বাড়িতে পৌঁছায় ফরিদুলের মরদেহ। বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয় একটি স্কুল মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন করার কথা রয়েছে।
ফরিদুল ইসলাম উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের পূর্বসুখনগরী গ্রামের সুরুজ আকন্দের ছেলে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফরিদুলের চাচাতো ভাই সাদেক আকন্দ। তিনি বলেন, ‘ফরিদুলকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ড্রাইভিং ভিসায় কিন্তু তাঁকে সেই কাজ দেওয়া হয়নি। তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সাগরে মাছ ধরার কাজ দিয়ে তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা এই প্রতারণার বিচার চাই।’
পরিবার বলছে, ফরিদুল তাঁর মামাশ্বশুরের মাধ্যমে ৩ মাস আগে ওমানে পাড়ি জমান। তাঁকে ড্রাইভিং ভিসার কাজের কথা বলে নিয়ে গেলেও তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গভীর সাগরে ট্রলারে মাছ ধরার কাজ দেওয়া হয়। গত ১০ জুন বিকেলে সাগরে মাছ ধরার সময় ফরিদুলের ট্রলারটি ঝড়ের কবলে পড়ে তলিয়ে যায়। এতে ফরিদুল পানিতে ডুবে মারা যান। মারা গেলেও তাঁর মরদেহ পাওয়া যাচ্ছিল না। উদ্ধার অভিযানের ৪ দিন পর লাশ উদ্ধার করে সেখানকার ডুবুরি দল। ফরিদুলের মৃত্যুর ১৫ দিন পর তাঁর লাশ দেশে আসল।
ওমানে নিখোঁজ হওয়ার দিন থেকেই ফরিদুলের পরিবারে চলছে মাতম। আয় উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা তাঁর স্ত্রী। দুটি শিশু সন্তান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।