পৌর কাউন্সিলরসহ ৫ জনকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম (৪৪) নামের একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার ভোরে ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া এলাকার হিলটন আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটেছে। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম ঈশ্বরগঞ্জ পৌর কাকনহাটি গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি ঈশ্বরগঞ্জ পৌর সদরের গো-হাটা এলাকার আপন জুয়েলার্সের মালিক এবং উপজেলা জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
জাগাঙ্গীর আলম কার ফেসবুক পোস্টে যে ৫ জনকে দায়ী করেছেন তারা হলেন, ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুর রহমান রাসেল, স্থানীয় কাকনহাটি গ্রামের কাঞ্চন মিয়া, মিলন মিয়া, সুজন মিয়া ও অন্তর মিয়া।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, দেনা পাওনার কারনে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনী পক্রিয়া চলমান রয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘খবর পেয়ে নগরীর হিলটন আবাসিক হোটেলের ১১৫ নম্বর কক্ষ থেকে জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’
হোটেল কর্তৃপক্ষ বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘গত ২০ তারিখ থেকে জাহাঙ্গীর হোটেলের ১১৫ নম্বর কক্ষে ভাড়া ওঠেন। এরপর রোববার ভোর রাতে তিনি হোটেল কক্ষে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে জাহাঙ্গীর একটি ফেসবুক পোস্টে ৫ জনকে দায়ী করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে এই মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।’
তবে ঘটনার বিষয়ে কাউন্সিলর সাইফুর রহমান রাসেল বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আমার দোকানের ভাড়াটিয়া। সে ঋণগ্রস্ত একজন মানুষ। তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো থাকার কারণে আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক পাওনাদার আমার কাছে বিচার চেয়ে নালিশ করে। এসব বিষয়ে একাধিকবার তাঁর সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করেছি। হয়তো এসব বিষয়ে আমার প্রতি জাহাঙ্গীর আলমের রাগ থাকতে পারে।’