জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর হামলার মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইউনিয়নের কান্দারচর বাজার এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। আজ রোববার দুপুরে ইসলামপুর থানায় দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম আলাউদ্দিন আল আজাদ ওরফে আলাল সরকার। তিনি চরপুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক দিন আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা ইসলামপুর অডিটরিয়ামের সামনে জড়ো হন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক খলিল সরকার ওরফে খসখসা খলিলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা আন্দোলন ঠেকাতে হামলা চালান। হামলাকারীরা দা, লোহার রড, হকিস্টিক, শটগান ও পিস্তলসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের মারধর করেন। এতে বেশ কয়েকজন ছাত্র গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এই ঘটনায় ৬ সেপ্টেম্বর রাতে চরপুটিমারী ইউনিয়নের আগ্রাখালী আকন্দপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আইয়ুব আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের ছোট ভাই এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মোরশেদুর রহমান মাসুম খানসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আলাল সরকারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’