ময়মনসিংহে পুলিশ সদস্য খুনের মামলায় সহোদরসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার ভোরে ঢাকা ও মুক্তাগাছা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন নিহত পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেনের ভাই হাবিবুল করিম তপু ও তপুর বন্ধু মুক্তাগাছার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, বাঘেরকান্দা গ্রামের রেজাউল করিম আবুলের ছেলে নিহত পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে বাড়িতে বসবাস করছিলেন। এসব কারণে পুলিশ বিভাগ থেকে বেশ কয়েকটি লঘু এবং গুরুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন সাদ্দাম হোসেন।
কিছুদিন ধরে তিনি মাদক সেবনের টাকার জন্য পরিবারের সদস্যদের অত্যাচার করার পাশাপাশি বাবা-মাকে কয়েক দফা মারধরও করেন। সেই সঙ্গে তিনি একটি মোটরসাইকেল বন্ধক দিয়ে টাকা নিয়ে মাদক খেয়েছেন।
সম্প্রতি পরিবারের প্রয়োজনে একখণ্ড জমি বিক্রি করলে ওই টাকা দিতে সাদ্দাম হোসেন তাঁর বাবাকে চাপ সৃষ্টি করছিলেন। এই ঘটনায় পরিবারে ব্যাপক অশান্তি সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন সাদ্দামের ভাই হাবিবুল করিম তপু। ঘটনার দিন গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বন্ধু আনোয়ার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে সাদ্দাম হোসেনকে ডেকে স্থানীয় একটি মেহগনি বাগানে নিয়ে যান তপু।
সেখানে বসে তপু তাঁর ভাই সাদ্দাম হোসেনকে চাকরিতে ফিরে যেতে অনুরোধ করে মাদক থেকে সরে আসার অনুরোধ জানান। কিন্তু ভাইয়ের এসব কথায় সাদ্দাম হোসেন পাত্তা না দেওয়ায় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে গলায় রশি লাগিয়ে গাছের সঙ্গে আটকে শ্বাসরোধ করে সাদ্দাম হোসেনকে হত্যা করা হয়। এই কাজে তপুকে সহযোগিতা করেন তাঁর বন্ধু আনোয়ার হোসেন।
এ ঘটনায় থানায় নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার মামলা করলে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ।