চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের মামলায় শেরপুর সদর উপজেলার কুসুমহাটির জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজাসহ ৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে আসামিরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারিন ফারজানা তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্য তিন আসামি হলেন একই কলেজের প্রভাষক আলফাজ উদ্দিন এবং অধ্যক্ষের আত্মীয় শেখ জামাল ও হযরত আলী।
আদালত সূত্র জানায়, শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ঘিনাপাড়া গ্রামের মো. মোতালেব মিয়াকে জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে ল্যাব সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা, প্রভাষক আলফাজ উদ্দিন ও অধ্যক্ষের দুই আত্মীয়ের সহযোগিতায় ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন।
পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে চাকরির ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও চাকরি না হওয়ায় মোতালেব মিয়া চলতি বছরের ২৬ মে অধ্যক্ষের কাছে টাকা ফেরত দাবি করলে তিনি সহযোগীদের প্ররোচণায় তা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় ৭ জুন মোতালেব মিয়া বাদী হয়ে অধ্যক্ষসহ চারজনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর আসামিরা ১৩ জুন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন লাভ করেন। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আসামিরা আমলী আদালতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জামিননামা দাখিল ও আত্মসমর্পণ করেননি। আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পরিদর্শক খন্দকার মো. শহিদুল হক বলেন, আসামিরা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আমলী আদালতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জামিননামা দাখিল ও আত্মসমর্পণ না করে সেই নির্দেশনা অমান্য করেছেন। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।