ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য পৃথক মন্ত্রণালয়–ভূমি কমিশন গঠনসহ ১১ দফা দাবিতে ময়মনসিংহে র্যালি ও সমাবেশ হয়েছে। আজ শনিবার নগরীর রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হল গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন মহানগর শাখার সভাপতি অনন্য রেমা অনিক, সমন্বয়কারী অনিরুদ্ধ হাপাং, জাসেং নকরেক, অর্ণব জেমস স্কু, চৈতী মানখিন, তীর্থ রুরাম, অতনু হাগিদক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে দেশের মূলধারার জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি প্রান্তিক আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সার্বিক সুরক্ষার বিকল্প নেই। সমতলের আদিবাসীদের বাদ দিয়ে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন কখনো সম্ভব নয়।’ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে সমতল থেকে একজন প্রতিনিধি রাখার আহ্বান জানান তাঁরা।
তাঁরা আরও বলেন, ‘অতীতের বিভিন্ন সরকার সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা আর কোনো প্রতিশ্রুতি চাই না, আমরা চাই বাস্তবায়ন।’ বক্তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই আদিবাসীদের দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জাতীয় সংলাপসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
১১ দফা দাবিগুলো হলো:
আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, সমতল আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন ও ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে, আদিবাসী প্রথাগত ভূমি সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং ১৯২৭ সালের বন আইন সংশোধন করতে হবে, উন্নয়নের নামে আদিবাসীদের ভূমি অধিগ্রহণ, বেদখল ও উচ্ছেদ বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সব আদিবাসী হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত বিচার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশ শেষে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রদর্শন করে। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তাঁরা। এতে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।