আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের রাজনীতি করলে কেউ ভোট বর্জন করতে পারে না। কেউ যদি সন্ত্রাসের রাজনীতি করে, কালো টাকার রাজনীতি করে তাহলে তারা ভোট বর্জনের কথা বলতে পারে, ভাবতে পারে।’
আজ সোমবার শেরপুর-২ আসনের নালিতাবাড়ী উপজেলার নলজোড়া ইন্তাজ আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কালো টাকার রাজনীতি করে না, সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ করেছে, কিন্তু সন্ত্রাস করেনি। সন্ত্রাস করে বাংলাদেশের জন্ম হয়নি। এ কথা আমাদের মাথায় রাখা উচিত। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং পরবর্তীকালে সেই ধারাটা টেনে নিয়ে গেছেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। সুতরাং (বিএনপির) এ ধরনের কোন চিন্তা বা উদ্যোগ সফল হবে না।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ উন্নয়ন ও রাজনীতি দুটো দেখেই নৌকা মার্কায় আবারও ভোট দেবেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার অন্তরের সম্পর্ক। তারা ভোটের দিন এসে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে অবশ্যই আমাকে জয়ী করতে সহযোগিতা করবেন।’
সংসদ উপনেতা আরও বলেন, ‘মানুষ এখন যথেষ্ট সচেতন। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অবশ্যই ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং ভোট দেবেন। কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকেই আমি খাটো করে দেখি না। তাদের নিশ্চয়ই যথেষ্ট দক্ষতা আছে। সে কারণেই তারা সাহস পাচ্ছে বা নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য এখানকার সাধারণ জনগণ। তারা অনেক সচেতন। বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্যেও তারা এখানে রাজনীতিটাকে টিকিয়ে রেখেছেন।’
পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক ওয়াজকুরুনী, পৌরসভার মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক বাক্কার, শেরপুর নারী-শিশু ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ বকুল ও হাজী মো. মোশাররফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।