হোম > সারা দেশ > ময়মনসিংহ

ঢলের পানি নামতে থাকায় বেড়েছে ‘চাঁই’ বিক্রি

হালুয়াঘাট প্রতিনিধি

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয় সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে বেড়ে যায় নদ-নদী, খাল-বিলের পানি। টইটম্বুর হয়েছে চারপাশ। ঢলের পানির সঙ্গে বেড়েছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। এতে এসব এলাকায় কদর বেড়েছে দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জামের। তবে অবাধে দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা নিধনে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয় উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে গত কয়েক দিন ধরে এসব এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁশের তৈরি ফাঁদ দিয়ে মাছ ধরতে শুরু করেছেন। এতে কদর বেড়েছে বাঁশের তৈরি চাঁই, বুরুন, টইয়া ও পলোরসহ বিভিন্ন মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জামের। 

উপজেলার ধারার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাছ ধরার উপকরণের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতা আমীর উদ্দিন বলেন, ‘বর্ষাকাল আসলে ব্যবসা ভালো হয়। পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে বিভিন্ন এলাকায় পানি ওঠায় নতুন পানিতে মাছ ধরতে এখন পেশাদার মাছ শিকারি থেকে শুরু করে শৌখিন শিকারিরা পর্যন্ত কিনে নিচ্ছে মাছ ধরার এসব সরঞ্জাম। আকার অনুযায়ী এসব চাঁই ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা দামে বিক্রি হয়। তবে টইয়া আর পলো বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়।’ 

মাছ ধরার সরঞ্জামের বিষয়ে বিক্রেতারা জানান, মাছ ধরার চাঁই আড়াই থেকে তিন ফুট আকৃতির গোলাকার আর লম্বা হয়। এ ছাড়া টইয়া হয় চ্যাপ্টা আকৃতির। এতে ছোট বড় সব ধরনের মাছ আটকে যায়। পলো সাধারণত আড়াই থেকে তিন ফুট গোল-লম্বাকৃতি হয়ে থাকে। সাধারণত রাতে এর ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। 

বাজারে চাঁই কিনতে আসা বয়োজ্যেষ্ঠ একলাছ উদ্দিন জানান, পাহাড়ি ঢলে বাড়ির পাশের জমি ও পুকুর পানিতে ডুবে যায়। এখন পানি নামতে শুরু করায় দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে। রাতের বেলা চিংড়ি এবং দিনে পুটিমাছ ধরা পড়ছে বেশি। দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরতে তিনি বাজারে চাঁই কিনতে এসেছেন। 

ধারা বাজারে চাঁই বিক্রি করতে আসা আ. সাত্তার জানান, গত দুই দিন ধরে চাঁইয়ের চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ। আগে সপ্তাহে একদিন বসতাম এখন প্রতিদিন বসি।

চাঁই কিনতে আসা ধুরাইল এলাকার কৃষক আহম্মদ আলী বলেন, ‘ছোট ছেলেটা বাইনা ধরছে তাই চারটা চাঁই নিলাম। বাড়ির পালানে ঢলের পানি নামতে শুরু করেছে সেখানে মাছ ধরবে।’

এদিকে খাল-বিল নদীর নতুন পানিতে দেশি মা মাছ পোনা ছেড়েছে। মাছ ধরার অবৈধ উপকরণ ব্যবহার করে ধরা হচ্ছে এসব মাছ। স্থানীয়দের মতে, এভাবে নতুন পানির মা মাছের পোনা যদি ধ্বংস করা হয় তবে কিছুদিন পর আর মাছ খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অবৈধ ভাবে ফাঁদ পেতে মাছ ধরা আইনত অপরাধ। এ বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, চাঁই দিয়ে মাছ ধরা নিষেধ নেই। তবে নিষিদ্ধ জ্বাল দিয়ে কেউ মাছ ধরলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ময়মনসিংহে নিহত দীপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক, স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস

পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন: গ্রেপ্তার ১২ আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড

নড়বড়ে বাঁশে ঠেস দেওয়া ৪৮০ ভোল্টের খুঁটি

বিস্ফোরক মামলায় সাবেক এমপি সারোয়ার কারাগারে

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন: আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

দিপুকে হত্যার পর ঝুলিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেপ্তার

দিপু চন্দ্রকে জোরপূর্বক চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেওয়া হয়: র‍্যাব

ময়মনসিংহের নান্দাইল: নদীর জায়গা দখল করে আ.লীগ নেতার মার্কেট

দিপুকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশে আগুন