প্রতিবছর কোরবানির ঈদের আগে ওজন এবং দামে আলোচনায় উঠে আসে নানা বাহারি নামের গরু। এবার সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর এলাকার ‘কালো টাইগারের’ নাম। গায়ের রং কালো। লম্বায় যেমন, উচ্চতাতেও তেমন। শরীরও ফোলা নয়। তাই ষাঁড়টি দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন প্রতিনিয়ত।
ত্রিশাল উপজেলার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নওধার নদীপাড় এলাকার নজরুল ইসলাম এই ষাঁড়ের মালিক। তিনি জানান, কালো টাইগারের খাবারের জন্য তাঁকে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি গত চার বছর ধরে তিনি লালন পালন করে আসছেন। ৭ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট উচ্চতার ষাঁড়টির ওজন ৮০০ কেজি বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া ষাঁড়টির বিক্রয়মূল্য ১২ লাখ টাকা প্রত্যাশা করছেন বলে জানান তিনি।
কালো টাইগার ছাড়াও তাঁর খামারে আরও ১৫টি গরু রয়েছে। সবগুলো গরু ঈদ উপলক্ষে বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়েছে। করোনার কারণে এবারের কোরবানির ঈদে দেশের বাইরে থেকে গরু আসার সুযোগ থাকছে না। তাই খামারিরা কোরবানির পশুর যথাযথ মূল্য পাবেন বলে আশা করছেন।
তিনি আরও জানান, শখের বশে আদর ভালোবাসায় লালন-পালন করায় ষাঁড়টির সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তিনি ডাকলে কালো টাইগার তাঁর দিকে ছুটে আসে। কালো টাইগারের খাবারে কৃত্রিম কোনো কিছু ব্যবহার করা হয় না। প্রাকৃতিক খাদ্য খৈল, ভুট্টা, ভুসি, কলা, ভাত ও খড়-ঘাস খাওয়ানো হয়।
স্থানীয় পশু চিকিৎসক আব্দুল হামিদ জানান, কালো টাইগারকে তিনি নিয়মিত চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করা হয়েছে। তাই তার মাংস অনেক সুস্বাদু হবে।