শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার কাজে জামাতাকে সহায়তার অপরাধে এক ব্যক্তিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে অভিযান টের পেয়ে অভিযুক্ত জামাতা বালু তোলার বিভিন্ন সরঞ্জাম ফেলে পালিয়েছেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম রেজাউল করিম। তাঁকে পুলিশ জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে। রেজাউলের জামাতা বালু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম পলাতক রয়েছেন। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত রেজাউলের বাড়ি থেকে বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করেন।
গতকাল রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদের গোবিন্দনগর এলাকায় এ অভিযান চালান সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান।
জানা গেছে, গোবিন্দনগর চারআনীপাড়া ও ভোগাই নদের পাড়ের মধ্যবর্তী ভোগাই নদের ইজারা-বহির্ভূত স্থান থেকে বালু তুলছিল একটি অসাধু চক্র। কয়েকবার অভিযানের পরেও তা থামেনি। গতকাল বিকেলে ওই স্থানে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান। এ সময় পাঁচটি ছোট খনন যন্ত্র (ড্রেজার), ১০টি মাচা ও অনেকগুলো পাইপ ধ্বংস করা হয়। অভিযান টের পেয়ে বালু তোলার কাজে সরাসরি জড়িতরা পালিয়ে যান। তবে নদের তীরবর্তী বাসিন্দা রেজাউলের বাড়ি থেকে অনেক পাইপ ও ছোট ড্রেজারে ব্যবহৃত শ্যালো মেশিন জব্দ করা হয়।
নালিতাবাড়ীর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিসুর রহমান বলেন, ‘অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’