নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুর্বৃত্তদের আগুনে হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের দুটি ভবনের চারটি কক্ষ পুড়ে যায়। নির্বাচনের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও মেরামত হয়নি কক্ষগুলো। ফলে পাশের একটি পরিত্যক্ত ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছেন বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকেরা। শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুনে পুড়ে যাওয়া কক্ষগুলো মেরামত করে পাঠদানের উপযুক্ত করা।
জানা গেছে, নান্দাইল উপজেলার সীমান্তবর্তী কিশোরগঞ্জের সীমান্ত ঘেঁষা সিংরইল ইউনিয়নে হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ২১৮ শিক্ষার্থী এবং ছয়জন শিক্ষক রয়েছেন। অন্যদিকে বিভিন্ন নির্বাচনে বিদ্যালয়টি নির্বাচনী ৮৫ নম্বর ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৫ জানুয়ারি গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা বিদ্যালয়ে আগুন দেয়। এতে বিদ্যালয়ের চারটি কক্ষ পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিদ্যালয়ের, চেয়ার, বেঞ্চ, ফ্যান, আসবাবসহ বৈদ্যুতিক লাইন। এ ছাড়া আগুনের তাপে দেয়ালের কালচে দাগ পড়ে ধসে পড়ে প্লাস্টার।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলে, ‘পুড়ে যাওয়া কক্ষগুলো দেখলে খুব খারাপ লাগে। ক্লাস করতে পারি না।’
হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেগম নুরুনাহার বলেন, ‘৮৫ হাজার খরচ করে সাময়িক কিছু কাজ করেছি। সঠিকভাবে মেরামত না করতে না পারায় পাঠদান করানো যাচ্ছে না। এদিকে বৈদ্যুতিক লাইন পুড়ে যাওয়াতে প্রতিবেশী একজনের কাছ থেকে লাইন এনে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
নান্দাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদ আহম্মদ বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়টি সাময়িক মেরামতের জন্য সাত লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। প্রাক্কলনের (ইস্টিমিট) জন্য দুই দিন আগে একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। প্রথমে জরুরি কাজগুলা করা হবে। টাকা থাকলে তারপর আসবাবপত্রের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।’