শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি এলাকায় ২০-২৫টি বন্যহাতির একটি পাল তাণ্ডব চালিয়ে খ্রিষ্টান মিশন ও কয়েকটি বসতবাড়ি তছনছ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্মপল্লি ও ডালুকোনা এলাকায় রাতব্যাপী তাণ্ডব চালায় বন্যহাতির পালটি।
বন বিভাগ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, খাদ্যের সন্ধানে ২০-২৫টি বন্যহাতির একটি পাল গতকাল বুধবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্মপল্লীতে ঢুকে সেখানকার কলাগাছ খেয়ে সাবাড় করে দেয়। হাতির তাণ্ডব থেকে বাঁচতে ধর্মপল্লির লোকজন ডাকচিৎকার করে পটকা ফুটিয়ে ও মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেন। পরে ওই হাতির পালটি শেষ রাতের দিকে পাশের ডালুকোনা এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে। এ সময় ওই গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মিতালি ঘাগড়ার ঘরে ঢুকে সেখানে রাখা বস্তাভর্তি চাল খেয়ে সাবাড় করে হাতির পাল।
ক্ষতিগ্রস্ত মিতালি ঘাগড়া বলেন, ‘ক্ষুধার্ত হাতির পাল আইছিল। লোকে বাধা দিতে গেলে তেড়ে আসে হাতি। পরে গ্রামবাসীরা মিলে ডাকচিৎকার করে ও পটকা ফুটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাতির পালকে তাড়ানো হয়।’
বারোমারী খ্রিষ্টধর্মপল্লির পাল পুরোহিত রেভারেন্ড ফাদার তরুণ বনোয়ারী বলেন, গতকাল বুধবার মাঝরাতে বন্যহাতির পাল মিশন এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়। আসলে বনে খাবার না থাকায় ক্ষুধার্ত হাতির পাল মাঝেমধ্যেই মিশন এলাকায় ঢুকে পড়ছে। বনে হাতির খাবারের ব্যবস্থা কিরা হলে হাতিও লোকালয়ে আসত না।