ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সাদিয়া আফরোজা (১৯) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার দত্তপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী খালিদ হাসান টিটু (২৩) পলাতক রয়েছেন।
আফরোজা পৌর এলাকার দত্তপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের মেয়ে। তিনি ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। টিটু দত্তপাড়া এলাকার মো. সুজন মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়দের জানান,৭-৮ মাস আগে পরিবারের অমতে বিয়ে আফরোজা। এরপর থেকে স্বামীর বাড়িতে থাকতেন তিনি। টিটু একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করেন। ঘটনার দিন দুপুরে টিটু বাহির থেকে থেকে এসে দেখে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। পরে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করে সারা না পেয়ে অন্য দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই আফরোজাকে দেখতে পান।
পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান টিটু।
এদিকে গৃহবধূর বাবা তাঁর হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন। গৃহবধূর বাবা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমার মেয়েটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার মেয়ের খুনির ফাঁসি চাই।’
নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি হোসনেআরা বলেন, ‘শারীরিক অসুস্থতায় গতকাল থেকে আমি ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতাল থেকে খবর পেয়েছি আমার পুত্রবধূ আত্মহত্যা করেছে। আমি তাঁকে মেয়ের মতো লালন করেছি। জানি না কি কারণে সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।’
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ছাড়া অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।