বগুড়ার শিবগঞ্জে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য ১৪ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ঘুষ নেওয়ার পর চাকরি না দিয়ে উল্টো প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের পোড়ানগরী গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান (২৪) নামের ভুক্তভোগী যুবক।
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাংনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজার রহমান নামের ওই যুবককে অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৪ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও চাকরির ব্যবস্থা না করলে তাকে এ বিষয়ে জানালে সে চাকরি প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমানকে মারপিট ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
অভিযোগকারী চাকরিপ্রার্থী মোস্তাফিজ জানান, চাকরি পাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের কথা মতো আমার বাড়ির জমি বিক্রি করে তাঁকে ১৪ লাখ টাকা দিয়েছি। এখন স্ত্রী সন্তান নিয়ে আমি পথে বসতে চলেছি। প্রধান শিক্ষক শহিদুলের কাছে টাকা চাইলে সে আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরুপায় হয়ে থানায় জিডি করেছি।
মোস্তাফিজ আরও জানান, গত বছরের ২৬ জুলাই স্থানীয় পত্রিকায় অফিস সহকারী পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলেন প্রধান শিক্ষক শহিদুল। এরপর তিনি বলেন তুমি তোমার মন মতো আরও তিনজনকে দরখাস্ত করতে বলো। এরপর পরীক্ষায় আমি তোমাকে পাস করিয়ে দেব। তাঁর কথা মতো আমি আমার স্ত্রী ও ২ বন্ধুসহ ৪ জনের নামে দরখাস্ত জমা দেই। এরপর পরীক্ষাও নেয় প্রধান শিক্ষক। কিন্তু এখন শুনি তিনি ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে অন্য এক প্রার্থীকে অফিস সহায়কের চাকরি দিচ্ছেন।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে আমি কোন টাকা নিইনি এবং হুমকিও দিইনি। এ সময় তিনি বলেন, অফিস সহায়ক নিয়োগের জন্য আমি কোন বিজ্ঞপ্তি দিইনি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস জানান, এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।