বগুড়ার শেরপুর থেকে নিখোঁজ সুব্রত কুমার মণ্ডল ওরফে সোনার (২৫) লাশ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে উদ্ধার করা হয়েছে। শেরপুরের নিঝুড়ি গ্রাম থেকে গত সোমবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ সোনার লাশ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রায়গঞ্জ উপজেলার নিঝুড়ি গ্রামের একটি নির্মাণাধীন কারখানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
রায়গঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যাকারীরা লাশ বালু দিয়ে চাপা দিয়েছিল। আজ শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রকিব হোসেন বলেন, কুমার মণ্ডল ওরফে সোনা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তাঁর বড় ভাই ষষ্ঠীচরণ মণ্ডল গতকাল বৃহস্পতিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। আজ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ওই এলাকায় মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের আনাগোনা আছে। নিহত যুবককেও ওই এলাকায় আগে দেখা গেছে। তবে কে বা কারা তাঁকে হত্যা করে বালু চাপা দিয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে নিহত সুব্রত কুমার মণ্ডলের গ্রামের বাসিন্দা সুশীল মণ্ডল (৮০) বলেন, ‘আমাদের গ্রামে এভাবে কখনো কেউ খুন হয়নি।’
দুই প্রতিবেশী রঞ্জুবালা মণ্ডল ও জয়ন্তী বড়াতি হত্যার ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেছেন।
নিহত সুব্রতর বাবা-মা আগেই মারা গেছেন। তিনি বড় ভাই ষষ্ঠীচরণ মণ্ডলের সঙ্গে এক বাড়িতে থাকতেন। নিহতের ভাবি দোলনচাঁপা মণ্ডল বলেন, তাঁর দেবর একসময় মাদকাসক্ত ছিল। তবে এখন সে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। গত সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেনি। নিখোঁজ হওয়ার পর গ্রামে মাইকিংসহ থানায় জিডি করা হয়। পরে গতকাল রাতে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।