Ajker Patrika

ভাইয়ের বদলে বোনকে কুপিয়ে রগ কেটে দিল মাদকাসক্ত যুবক

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি  
আহত মাদ্রাসাছাত্রী আরবি আকতার। ছবি: সংগৃহীত
আহত মাদ্রাসাছাত্রী আরবি আকতার। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় প্রতিবেশী মাদকাসক্ত যুবকের বিরুদ্ধে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে কোপ দিয়ে ডান হাতের রগ ও হাড় কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত আস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের ঘাসিড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ওই ছাত্রীকে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরের একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করিয়ে গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে আবারও হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে তিনি সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহত শিক্ষার্থী হলেন ওই গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে আরবি আকতার (২১)। তিনি ফুলতলা মাদ্রাসার ফাজিল শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক গোলাম রব্বানী (২৭) একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, আরবি আকতারের খালাতো ভাই রডমিস্ত্রি আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল গোলাম রব্বানীর। সম্প্রতি আশরাফুল ও গোলাম রব্বানীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার দুবলাগাড়ী হাট থেকে রব্বানী দেশীয় ধারালো অস্ত্র কিনে আশরাফুলের বাড়িতে তাঁকে মারতে যান। এ সময় আশপাশের লোকজন চিৎকার শুরু করলে বাড়ির গেট খুলে বের হন আরবি আকতার। গোলাম রব্বানী এ সময় আরবি আকতারের ডান হাতে কোপ দিয়ে আহত করেন। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না আশরাফুল। উপস্থিত লোকজন প্রথমে রব্বানীকে আটকে রাখলেও পরে তিনি কৌশলে পালিয়ে যান।

আরবি আকতারের বড় বোন রোকেয়া আকতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোলাম রব্বানী মাদকাসক্ত। আমার খালাতো ভাই আশরাফুলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা দিচ্ছেন না। টাকা চাইলে আশরাফুলের ওপরে ক্ষিপ্ত হন তিনি। কয়েক দিন আগে আশরাফুলের সঙ্গে রব্বানীর হাতাহাতিও হয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার দুবলাগাড়ী হাট থেকে রব্বানী দেশীয় ধারালো অস্ত্র কিনে আশরাফুলকে মারতে আসেন। আমার বোন গেট খুলে বাইরে আসার সঙ্গে সঙ্গে রব্বানী কোপ দেন। আমার বোনের সঙ্গে কিংবা আমাদের পরিবারের অন্য কারও সঙ্গে রব্বানীর কোনো বিরোধ ছিল না। ঘটনার সময় আশরাফুলও বাড়িতে ছিল না।’

আরবি আকতারের মামাতো ভাই আল আমিন বলেন, ‘মেয়েটার চিকিৎসার জন্য এখন অনেক টাকা লাগবে। একবার অপারেশন করা হয়েছে। আবারও অপারেশন করতে হবে। হাত ভালো হবে চিকিৎসকেরা এমন নিশ্চয়তাও দিতে পারছেন না। অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে।’

এ ঘটনায় কথা বলতে গোলাম রব্বানীর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর পরিবারের লোকজন বলছে, কেন এ ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে তাঁদের কিছু জানা নেই।

এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াদুদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় আরবি আকতারের বাবা আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এতে রব্বানীকে আসামি করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত