মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অর্ধেক সময়ে নেওয়া হচ্ছে পরীক্ষা। সবাই লেখায় ব্যস্ত। হাতে তেমন সময়ও নেই। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে পরীক্ষা। সেই চিন্তাও যেন পিছু ছাড়ছে না চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী শামীম হোসেনের। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে সে।
সামনে খাতা থাকলেও মনোযোগ নেই লেখার। অশ্রুসিক্ত চোখে বসে আছে পরীক্ষার কক্ষে। ভালো ছাত্র হলেও কিছুই করার ছিল না তার। খাতায় লেখার পরিবর্তে চোখ দিয়ে পানি ঝরছিল তার।
আজ মঙ্গলবার ছিল তার রসায়ন বিষয়ের পরীক্ষা। কিন্তু সোমবার রাতেই মারা যান তার বাবা আব্দুল রশিদ (৫০)। সব স্বপ্নই যেন মুহূর্তের মধ্যে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় শামীম হোসেনের। সারা রাত বাবার লাশের পাশেই ছিল একমাত্র ছেলে।
দুই মেয়ে আর একমাত্র ছেলে নিয়ে অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে চলছিল তাদের সংসার। দীর্ঘদিন থেকে শামীম হোসেনের পিতা মেরুদণ্ডের সমস্যায় ভুগছিলেন। সংসারের হাল ধরার মতো এখন তেমন কেউ নেই। পাশের গ্রামে দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন তার বাবা। তার বাড়ি বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের চকমহব্বতপুর গ্রামে।
এ ব্যাপারে মচমইল বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের কেন্দ্রসচিব, প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীন খান বলেন, ‘আমরা শামীম হোসেনের বিষয়টা শুনেছি। সত্যিই ঘটনাটি অনেক কষ্টের। তবে শামীম হোসেন যেন সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিতে পারে সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে।’