রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। তারপরও নির্বাচনের আগে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ তুলেছে দলটি। আজ রোববার রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে সকালে নগরীর মালোপাড়া এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে রাসিকের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে বিএনপি বর্জন করেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের এই নির্বাচন নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। তারপরও পুলিশ তাদের হয়রানি করছে।’
মিনু জানান, গত শুক্রবার (১৯ মে) পুঠিয়া উপজেলার শিবপুরের জনসভা শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় নগরীর বোয়ালিয়া থানা-পুলিশ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এই থানায় একটি গায়েবি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলাটিতে বিএনপির রাজশাহী বিভাগের এবং স্থানীয় নেতাদের আসামি দেখানো হয়েছে। এই মামলার প্রতিবাদ জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মিনু বলেন, ‘আগামী ২১ জুনের সিটি নির্বাচনে দলের কোনো নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করলে তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।’
মিনু আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার ও নির্বাচনের কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। এই নির্বাচন ভোট ডাকাতি এবং প্রহসনের নির্বাচন হবে। বর্তমান সরকারের পতন এবং এই নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন সুনিশ্চিত করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক রাসিকের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক মিলন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ, নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুন-অর-রশিদ প্রমুখ।