রাবি প্রতিনিধি

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে পরীক্ষার্থীদের সীমাহীন ভোগান্তিতে ফেলে এক ‘ভুতুড়ে’ আসনবিন্যাস প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। একইভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এমন ভুতুড়ে আসনবিন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, কেন্দ্র পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকা সত্ত্বেও সেই কেন্দ্র বাদ দিয়ে অন্যান্য কেন্দ্রে তাঁদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁদের ভোগান্তি কমার চেয়ে উল্টো বেড়েছে। ভুতুড়ে এই আসনবিন্যাস বাতিল করে নতুন আসনবিন্যাস প্রকাশের দাবি করছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পছন্দ তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তাঁর সিট পড়েছে। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো ভর্তিপ্রক্রিয়াকে পুনরায় সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। তাই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রবেশপত্র ডাউনলোডের পর আসনবিন্যাসের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র’ নামক একটি গ্রুপে অভিযোগ করে ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা লেখেন—‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটপ্ল্যান বাতিল চাই, শিক্ষার্থীদের সুবিধা অনুযায়ী নতুন করে সিটপ্ল্যান দিতে হবে।’
ওই ফেসবুক গ্রুপে জিকরা নিহা নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বাসা ঝিনাইদহে। একজন মেয়ে হয়ে আমার পক্ষে ঝিনাইদহ থেকে চট্টগ্রাম গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না। এত টাকা দিয়ে আবেদন করার পর আবার অত দূর অনেক টাকা দিয়ে জার্নি করাটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি বেশি দূরে জার্নি করতে পারি না, অসুস্থ বোধ করি। এ ছাড়া এত টাইম জার্নি করার পর পরীক্ষার হলে বসে পরীক্ষা দেওয়াটা কারোও পক্ষে সম্ভব নয়। এটা আমাদের জন্য অনেক হয়রানি। তাই সব দিক বিবেচনা করে আমাদের প্রত্যেক স্টুডেন্টের মতামত অনুযায়ী পছন্দের বিভাগে সিট দেওয়া উচিত।’
রওনক জাহান রোজি নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি বগুড়া হলেও পরীক্ষার সিট পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকে রাজশাহীতে যেতে ৩ ঘণ্টা লাগে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বেশি দূরে হয়ে যায় এবং থাকার জায়গা নিয়েও চিন্তায় পড়ে গেছি। অঞ্চলভেদে সিটপ্ল্যান করা উচিত ছিল। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই সিটপ্ল্যান নতুন করে প্রণয়ন করা উচিত।’
শিমুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রদের ভোগান্তি কমাতে গিয়ে উল্টো অনেকের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। এটাই বাস্তব।’
‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামক এক ফেসবুক গ্রুপে কাওসার আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘রাজশাহীর শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে খুলনা বিভাগে। প্রশাসনের এটা কী ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত? শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য কী? এতে করে প্রশাসন কী অর্জন করল জানতে চাই? শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি কি তাদের উদ্দেশ্য?’
এমন ভুতুড়ে আসনবিন্যাসের সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, ‘যে খুলনা কেন্দ্র চয়েজ দিয়েছে, তার এক ইউনিটে পড়েছে রাজশাহী, এক ইউনিটে ঢাকা, অন্য ইউনিটে চট্টগ্রাম! মানে সিরিয়াসলি? এটা কী হযবরল করেছে রাবির আইসিটি সেন্টার! এ তো নতুন ভোগান্তি চালু করা হচ্ছে। যেখানে ভর্তি পরীক্ষার ডিসেন্ট্রালাইজেশনের মূল উদ্দেশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানো। এ সমস্যার সমাধান বিশ্ববিদ্যালয়কে সময় নিয়ে হলেও করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার এখনো অনেক সময় বাকি। শিক্ষার্থীদের সাথে এটা নতুন প্রহসন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথমে রেখেছে, কিন্তু আমাদের আসনসংখ্যা সীমিত। এ কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট পূর্ণ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের এইচএসসির ফলাফল সাপেক্ষে সিটপ্ল্যান করা হয়েছে।’
এই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন বা সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা পুরো একটা প্রসেসের মাধ্যমে হয়। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো প্রসেস আবার সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। এদিকে শিগগির ক্যাম্পাস ছুটি হয়ে যাবে, তাই সময়ও কম। তবে এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।’
এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটের সংখ্যা কম থাকায় শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পছন্দের তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তার সিট পড়েছে। এটা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কারণ। এই সিটপ্ল্যান আর পরিবর্তন করার সুযোগ দেখছি না।’

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে পরীক্ষার্থীদের সীমাহীন ভোগান্তিতে ফেলে এক ‘ভুতুড়ে’ আসনবিন্যাস প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। একইভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এমন ভুতুড়ে আসনবিন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, কেন্দ্র পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকা সত্ত্বেও সেই কেন্দ্র বাদ দিয়ে অন্যান্য কেন্দ্রে তাঁদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁদের ভোগান্তি কমার চেয়ে উল্টো বেড়েছে। ভুতুড়ে এই আসনবিন্যাস বাতিল করে নতুন আসনবিন্যাস প্রকাশের দাবি করছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পছন্দ তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তাঁর সিট পড়েছে। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো ভর্তিপ্রক্রিয়াকে পুনরায় সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। তাই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রবেশপত্র ডাউনলোডের পর আসনবিন্যাসের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র’ নামক একটি গ্রুপে অভিযোগ করে ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা লেখেন—‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটপ্ল্যান বাতিল চাই, শিক্ষার্থীদের সুবিধা অনুযায়ী নতুন করে সিটপ্ল্যান দিতে হবে।’
ওই ফেসবুক গ্রুপে জিকরা নিহা নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বাসা ঝিনাইদহে। একজন মেয়ে হয়ে আমার পক্ষে ঝিনাইদহ থেকে চট্টগ্রাম গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না। এত টাকা দিয়ে আবেদন করার পর আবার অত দূর অনেক টাকা দিয়ে জার্নি করাটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি বেশি দূরে জার্নি করতে পারি না, অসুস্থ বোধ করি। এ ছাড়া এত টাইম জার্নি করার পর পরীক্ষার হলে বসে পরীক্ষা দেওয়াটা কারোও পক্ষে সম্ভব নয়। এটা আমাদের জন্য অনেক হয়রানি। তাই সব দিক বিবেচনা করে আমাদের প্রত্যেক স্টুডেন্টের মতামত অনুযায়ী পছন্দের বিভাগে সিট দেওয়া উচিত।’
রওনক জাহান রোজি নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি বগুড়া হলেও পরীক্ষার সিট পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকে রাজশাহীতে যেতে ৩ ঘণ্টা লাগে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বেশি দূরে হয়ে যায় এবং থাকার জায়গা নিয়েও চিন্তায় পড়ে গেছি। অঞ্চলভেদে সিটপ্ল্যান করা উচিত ছিল। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই সিটপ্ল্যান নতুন করে প্রণয়ন করা উচিত।’
শিমুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রদের ভোগান্তি কমাতে গিয়ে উল্টো অনেকের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। এটাই বাস্তব।’
‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামক এক ফেসবুক গ্রুপে কাওসার আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘রাজশাহীর শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে খুলনা বিভাগে। প্রশাসনের এটা কী ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত? শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য কী? এতে করে প্রশাসন কী অর্জন করল জানতে চাই? শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি কি তাদের উদ্দেশ্য?’
এমন ভুতুড়ে আসনবিন্যাসের সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, ‘যে খুলনা কেন্দ্র চয়েজ দিয়েছে, তার এক ইউনিটে পড়েছে রাজশাহী, এক ইউনিটে ঢাকা, অন্য ইউনিটে চট্টগ্রাম! মানে সিরিয়াসলি? এটা কী হযবরল করেছে রাবির আইসিটি সেন্টার! এ তো নতুন ভোগান্তি চালু করা হচ্ছে। যেখানে ভর্তি পরীক্ষার ডিসেন্ট্রালাইজেশনের মূল উদ্দেশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানো। এ সমস্যার সমাধান বিশ্ববিদ্যালয়কে সময় নিয়ে হলেও করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার এখনো অনেক সময় বাকি। শিক্ষার্থীদের সাথে এটা নতুন প্রহসন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথমে রেখেছে, কিন্তু আমাদের আসনসংখ্যা সীমিত। এ কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট পূর্ণ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের এইচএসসির ফলাফল সাপেক্ষে সিটপ্ল্যান করা হয়েছে।’
এই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন বা সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা পুরো একটা প্রসেসের মাধ্যমে হয়। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো প্রসেস আবার সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। এদিকে শিগগির ক্যাম্পাস ছুটি হয়ে যাবে, তাই সময়ও কম। তবে এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।’
এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটের সংখ্যা কম থাকায় শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পছন্দের তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তার সিট পড়েছে। এটা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কারণ। এই সিটপ্ল্যান আর পরিবর্তন করার সুযোগ দেখছি না।’
রাবি প্রতিনিধি

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে পরীক্ষার্থীদের সীমাহীন ভোগান্তিতে ফেলে এক ‘ভুতুড়ে’ আসনবিন্যাস প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। একইভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এমন ভুতুড়ে আসনবিন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, কেন্দ্র পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকা সত্ত্বেও সেই কেন্দ্র বাদ দিয়ে অন্যান্য কেন্দ্রে তাঁদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁদের ভোগান্তি কমার চেয়ে উল্টো বেড়েছে। ভুতুড়ে এই আসনবিন্যাস বাতিল করে নতুন আসনবিন্যাস প্রকাশের দাবি করছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পছন্দ তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তাঁর সিট পড়েছে। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো ভর্তিপ্রক্রিয়াকে পুনরায় সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। তাই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রবেশপত্র ডাউনলোডের পর আসনবিন্যাসের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র’ নামক একটি গ্রুপে অভিযোগ করে ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা লেখেন—‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটপ্ল্যান বাতিল চাই, শিক্ষার্থীদের সুবিধা অনুযায়ী নতুন করে সিটপ্ল্যান দিতে হবে।’
ওই ফেসবুক গ্রুপে জিকরা নিহা নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বাসা ঝিনাইদহে। একজন মেয়ে হয়ে আমার পক্ষে ঝিনাইদহ থেকে চট্টগ্রাম গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না। এত টাকা দিয়ে আবেদন করার পর আবার অত দূর অনেক টাকা দিয়ে জার্নি করাটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি বেশি দূরে জার্নি করতে পারি না, অসুস্থ বোধ করি। এ ছাড়া এত টাইম জার্নি করার পর পরীক্ষার হলে বসে পরীক্ষা দেওয়াটা কারোও পক্ষে সম্ভব নয়। এটা আমাদের জন্য অনেক হয়রানি। তাই সব দিক বিবেচনা করে আমাদের প্রত্যেক স্টুডেন্টের মতামত অনুযায়ী পছন্দের বিভাগে সিট দেওয়া উচিত।’
রওনক জাহান রোজি নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি বগুড়া হলেও পরীক্ষার সিট পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকে রাজশাহীতে যেতে ৩ ঘণ্টা লাগে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বেশি দূরে হয়ে যায় এবং থাকার জায়গা নিয়েও চিন্তায় পড়ে গেছি। অঞ্চলভেদে সিটপ্ল্যান করা উচিত ছিল। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই সিটপ্ল্যান নতুন করে প্রণয়ন করা উচিত।’
শিমুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রদের ভোগান্তি কমাতে গিয়ে উল্টো অনেকের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। এটাই বাস্তব।’
‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামক এক ফেসবুক গ্রুপে কাওসার আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘রাজশাহীর শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে খুলনা বিভাগে। প্রশাসনের এটা কী ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত? শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য কী? এতে করে প্রশাসন কী অর্জন করল জানতে চাই? শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি কি তাদের উদ্দেশ্য?’
এমন ভুতুড়ে আসনবিন্যাসের সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, ‘যে খুলনা কেন্দ্র চয়েজ দিয়েছে, তার এক ইউনিটে পড়েছে রাজশাহী, এক ইউনিটে ঢাকা, অন্য ইউনিটে চট্টগ্রাম! মানে সিরিয়াসলি? এটা কী হযবরল করেছে রাবির আইসিটি সেন্টার! এ তো নতুন ভোগান্তি চালু করা হচ্ছে। যেখানে ভর্তি পরীক্ষার ডিসেন্ট্রালাইজেশনের মূল উদ্দেশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানো। এ সমস্যার সমাধান বিশ্ববিদ্যালয়কে সময় নিয়ে হলেও করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার এখনো অনেক সময় বাকি। শিক্ষার্থীদের সাথে এটা নতুন প্রহসন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথমে রেখেছে, কিন্তু আমাদের আসনসংখ্যা সীমিত। এ কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট পূর্ণ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের এইচএসসির ফলাফল সাপেক্ষে সিটপ্ল্যান করা হয়েছে।’
এই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন বা সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা পুরো একটা প্রসেসের মাধ্যমে হয়। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো প্রসেস আবার সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। এদিকে শিগগির ক্যাম্পাস ছুটি হয়ে যাবে, তাই সময়ও কম। তবে এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।’
এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটের সংখ্যা কম থাকায় শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পছন্দের তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তার সিট পড়েছে। এটা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কারণ। এই সিটপ্ল্যান আর পরিবর্তন করার সুযোগ দেখছি না।’

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে পরীক্ষার্থীদের সীমাহীন ভোগান্তিতে ফেলে এক ‘ভুতুড়ে’ আসনবিন্যাস প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। একইভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এমন ভুতুড়ে আসনবিন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, কেন্দ্র পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকা সত্ত্বেও সেই কেন্দ্র বাদ দিয়ে অন্যান্য কেন্দ্রে তাঁদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁদের ভোগান্তি কমার চেয়ে উল্টো বেড়েছে। ভুতুড়ে এই আসনবিন্যাস বাতিল করে নতুন আসনবিন্যাস প্রকাশের দাবি করছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পছন্দ তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তাঁর সিট পড়েছে। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো ভর্তিপ্রক্রিয়াকে পুনরায় সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। তাই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রবেশপত্র ডাউনলোডের পর আসনবিন্যাসের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র’ নামক একটি গ্রুপে অভিযোগ করে ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা লেখেন—‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটপ্ল্যান বাতিল চাই, শিক্ষার্থীদের সুবিধা অনুযায়ী নতুন করে সিটপ্ল্যান দিতে হবে।’
ওই ফেসবুক গ্রুপে জিকরা নিহা নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বাসা ঝিনাইদহে। একজন মেয়ে হয়ে আমার পক্ষে ঝিনাইদহ থেকে চট্টগ্রাম গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না। এত টাকা দিয়ে আবেদন করার পর আবার অত দূর অনেক টাকা দিয়ে জার্নি করাটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি বেশি দূরে জার্নি করতে পারি না, অসুস্থ বোধ করি। এ ছাড়া এত টাইম জার্নি করার পর পরীক্ষার হলে বসে পরীক্ষা দেওয়াটা কারোও পক্ষে সম্ভব নয়। এটা আমাদের জন্য অনেক হয়রানি। তাই সব দিক বিবেচনা করে আমাদের প্রত্যেক স্টুডেন্টের মতামত অনুযায়ী পছন্দের বিভাগে সিট দেওয়া উচিত।’
রওনক জাহান রোজি নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি বগুড়া হলেও পরীক্ষার সিট পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকে রাজশাহীতে যেতে ৩ ঘণ্টা লাগে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বেশি দূরে হয়ে যায় এবং থাকার জায়গা নিয়েও চিন্তায় পড়ে গেছি। অঞ্চলভেদে সিটপ্ল্যান করা উচিত ছিল। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই সিটপ্ল্যান নতুন করে প্রণয়ন করা উচিত।’
শিমুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রদের ভোগান্তি কমাতে গিয়ে উল্টো অনেকের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। এটাই বাস্তব।’
‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামক এক ফেসবুক গ্রুপে কাওসার আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘রাজশাহীর শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে খুলনা বিভাগে। প্রশাসনের এটা কী ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত? শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য কী? এতে করে প্রশাসন কী অর্জন করল জানতে চাই? শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি কি তাদের উদ্দেশ্য?’
এমন ভুতুড়ে আসনবিন্যাসের সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, ‘যে খুলনা কেন্দ্র চয়েজ দিয়েছে, তার এক ইউনিটে পড়েছে রাজশাহী, এক ইউনিটে ঢাকা, অন্য ইউনিটে চট্টগ্রাম! মানে সিরিয়াসলি? এটা কী হযবরল করেছে রাবির আইসিটি সেন্টার! এ তো নতুন ভোগান্তি চালু করা হচ্ছে। যেখানে ভর্তি পরীক্ষার ডিসেন্ট্রালাইজেশনের মূল উদ্দেশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানো। এ সমস্যার সমাধান বিশ্ববিদ্যালয়কে সময় নিয়ে হলেও করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার এখনো অনেক সময় বাকি। শিক্ষার্থীদের সাথে এটা নতুন প্রহসন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথমে রেখেছে, কিন্তু আমাদের আসনসংখ্যা সীমিত। এ কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট পূর্ণ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের এইচএসসির ফলাফল সাপেক্ষে সিটপ্ল্যান করা হয়েছে।’
এই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন বা সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা পুরো একটা প্রসেসের মাধ্যমে হয়। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো প্রসেস আবার সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। এদিকে শিগগির ক্যাম্পাস ছুটি হয়ে যাবে, তাই সময়ও কম। তবে এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।’
এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটের সংখ্যা কম থাকায় শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পছন্দের তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তার সিট পড়েছে। এটা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কারণ। এই সিটপ্ল্যান আর পরিবর্তন করার সুযোগ দেখছি না।’

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় লোকমান হোসেন ভূঁইয়া নামে এক কাঠমিস্ত্রিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রায়েরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
১০ মিনিট আগে
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের খাওখীর গ্রামের উত্তর পাশে কালিজিরা খালের পাড়ে মনির তালুকদারের জমি থেকে মালিকানাবিহীন এসব আলু জব্দ করা হয়।
৩১ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
১ ঘণ্টা আগে
নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন।
১ ঘণ্টা আগেমতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় লোকমান হোসেন ভূঁইয়া নামে এক কাঠমিস্ত্রিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রায়েরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মো. মাসুদ নামে এক ব্যক্তি লোকমানের ওপর এই নির্যাতন চালায় বলে দাবি করেছে পরিবার।
এ ঘটনায় আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগীর মা থানায় অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ লোকমানকে উদ্ধার এবং মাসুদকে আটক করে।
জানা গেছে, মাসুদ দীর্ঘদিন ধরে রায়েরকান্দি গ্রামে বাস করছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ধনাগোদা নদীতে অবৈধ জাগ তৈরি করে মাছ চাষ করেন। জাগে বিষ দিয়ে মাছ মারার সন্দেহে কাঠমিস্ত্রি লোকমান হোসেনকে গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বাড়ি থেকে তুলে যান মাসুদ ও তাঁর লোকজন। তাঁরা একটি গোয়ালঘরে রেখে তাঁকে নির্যাতন করেন। লোকমানের মা জাহানারা বেগম সেখানে গিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন মাসুদ। এ অবস্থায় লোকমানের মা পুলিশের সহায়তায় ছেলেকে উদ্ধার করেন।
কাঠমিস্ত্রি লোকমান বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। কাঠমিস্ত্রির কাম করি আর খাই। কারও কোনো ঝামেলায় আমি নাই। কিন্তু মাসুদ আমাকে হাত-পা বেঁধে বাড়ি থেকে তুলে এনে গরু ঘরে রেখে অনেক মারধর করেছে—আর বলেছে আমি যেন বলি আমি তার জাগ ভাঙছি। কিন্তু আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।’
মতলব উত্তর থানার এসআই সুমন চন্দ্র দাস বলেন, ‘লোকমানকে শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখে মারধর করা হয়। প্রায় চার দিন ধরে তার ওপর এই নির্যাতন চালানো হয়েছে। পরে তার মা থানায় ইনফর্ম করলে আমরা গিয়ে লোকমানকে উদ্ধার করি এবং মাসুদকে আটক করি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় লোকমান হোসেন ভূঁইয়া নামে এক কাঠমিস্ত্রিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রায়েরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মো. মাসুদ নামে এক ব্যক্তি লোকমানের ওপর এই নির্যাতন চালায় বলে দাবি করেছে পরিবার।
এ ঘটনায় আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগীর মা থানায় অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ লোকমানকে উদ্ধার এবং মাসুদকে আটক করে।
জানা গেছে, মাসুদ দীর্ঘদিন ধরে রায়েরকান্দি গ্রামে বাস করছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ধনাগোদা নদীতে অবৈধ জাগ তৈরি করে মাছ চাষ করেন। জাগে বিষ দিয়ে মাছ মারার সন্দেহে কাঠমিস্ত্রি লোকমান হোসেনকে গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বাড়ি থেকে তুলে যান মাসুদ ও তাঁর লোকজন। তাঁরা একটি গোয়ালঘরে রেখে তাঁকে নির্যাতন করেন। লোকমানের মা জাহানারা বেগম সেখানে গিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন মাসুদ। এ অবস্থায় লোকমানের মা পুলিশের সহায়তায় ছেলেকে উদ্ধার করেন।
কাঠমিস্ত্রি লোকমান বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। কাঠমিস্ত্রির কাম করি আর খাই। কারও কোনো ঝামেলায় আমি নাই। কিন্তু মাসুদ আমাকে হাত-পা বেঁধে বাড়ি থেকে তুলে এনে গরু ঘরে রেখে অনেক মারধর করেছে—আর বলেছে আমি যেন বলি আমি তার জাগ ভাঙছি। কিন্তু আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।’
মতলব উত্তর থানার এসআই সুমন চন্দ্র দাস বলেন, ‘লোকমানকে শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখে মারধর করা হয়। প্রায় চার দিন ধরে তার ওপর এই নির্যাতন চালানো হয়েছে। পরে তার মা থানায় ইনফর্ম করলে আমরা গিয়ে লোকমানকে উদ্ধার করি এবং মাসুদকে আটক করি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর
০৫ মার্চ ২০২৫
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের খাওখীর গ্রামের উত্তর পাশে কালিজিরা খালের পাড়ে মনির তালুকদারের জমি থেকে মালিকানাবিহীন এসব আলু জব্দ করা হয়।
৩১ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
১ ঘণ্টা আগে
নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের খাওখীর গ্রামের উত্তর পাশে কালিজিরা খালের পাড়ে মনির তালুকদারের জমি থেকে মালিকানাবিহীন এসব আলু জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা আলুগুলো মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এলাকাবাসী জানায়, গত বুধবার রাতে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি আলুভর্তি একটি বড় ট্রলার খাওখীর গ্রামের কালিজিরা খালের পাড়ে নিয়ে আসে। পরে ট্রলার থেকে আলুর বস্তাগুলো খালের পাশের মনির তালুকদারের জমিতে নামিয়ে রেখে খালি ট্রলারটি চলে যায়। প্রথমে এলাকাবাসী ধারণা করেছিল, আলুগুলো হয়তো কেউ কিনে রেখেছে এবং পরে নিয়ে যাবে। কিন্তু বুধবার রাত থেকে শনিবার দিন পর্যন্ত কেউ আলুগুলো নিতে না আসায় সেগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে।
পরে বিষয়টি মগড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিন্টু খানকে জানানো হলে তিনি নলছিটি থানা-পুলিশকে অবহিত করেন।
মিন্টু খান জানান, আলুর মালিককে খুঁজে না পেয়ে আজ পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আলুগুলো জব্দ করে।
মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘পুলিশ জব্দ করা আলুর বস্তাগুলো আপাতত আমার জিম্মায় রেখেছে।’
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করা হয়েছে। আলুর কোনো বৈধ মালিক এখনো শনাক্ত করা যায়নি। আলুর বস্তাগুলো আপাতত স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের খাওখীর গ্রামের উত্তর পাশে কালিজিরা খালের পাড়ে মনির তালুকদারের জমি থেকে মালিকানাবিহীন এসব আলু জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা আলুগুলো মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এলাকাবাসী জানায়, গত বুধবার রাতে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি আলুভর্তি একটি বড় ট্রলার খাওখীর গ্রামের কালিজিরা খালের পাড়ে নিয়ে আসে। পরে ট্রলার থেকে আলুর বস্তাগুলো খালের পাশের মনির তালুকদারের জমিতে নামিয়ে রেখে খালি ট্রলারটি চলে যায়। প্রথমে এলাকাবাসী ধারণা করেছিল, আলুগুলো হয়তো কেউ কিনে রেখেছে এবং পরে নিয়ে যাবে। কিন্তু বুধবার রাত থেকে শনিবার দিন পর্যন্ত কেউ আলুগুলো নিতে না আসায় সেগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে।
পরে বিষয়টি মগড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিন্টু খানকে জানানো হলে তিনি নলছিটি থানা-পুলিশকে অবহিত করেন।
মিন্টু খান জানান, আলুর মালিককে খুঁজে না পেয়ে আজ পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আলুগুলো জব্দ করে।
মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘পুলিশ জব্দ করা আলুর বস্তাগুলো আপাতত আমার জিম্মায় রেখেছে।’
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করা হয়েছে। আলুর কোনো বৈধ মালিক এখনো শনাক্ত করা যায়নি। আলুর বস্তাগুলো আপাতত স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর
০৫ মার্চ ২০২৫
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় লোকমান হোসেন ভূঁইয়া নামে এক কাঠমিস্ত্রিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রায়েরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
১০ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
১ ঘণ্টা আগে
নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী ও ডিনদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেখানে ডিনরা তাঁদের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
এদিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এস এম একরাম উল্ল্যাহ বলেন, ‘আজ কী হয়েছে, সেটা জানি না। তবে আমরা জানিয়েছি, আমরা দায়িত্ব পালন করতে ইচ্ছুক না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই একটি সমস্যার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছিলাম, যার একটি সুরাহা হতে চলেছে। আগামীকাল (সোমবার) অফিশিয়ালি আমরা জানাব।’
এর আগে আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবিতে আজ সকাল ১০টার দিকে ডিনস কমপ্লেক্সে যান শিক্ষার্থীরা। পরে ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত এই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা। ডিনদের কেউ আজ নিজেদের বিভাগে ক্লাসে যাননি।
পরে বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে এসে তাঁদের দাবি জানান। এ সময় শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল দাবি আদায়ের আগে রেজিস্ট্রার ভবন ত্যাগ না করার ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরসহ সহ-উপাচার্য ও প্রক্টর দপ্তরেও তালা ঝুলিয়ে দেন। প্রায় আধা ঘণ্টা তালাবদ্ধ রাখার পর খুলে দেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য, প্রক্টর ও জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সভায় বসেন। সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাতে আরেকটি সভা ডাকা হবে বলে ওই সভা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতি, ডিন, সিন্ডিকেট, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি এবং শিক্ষা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১২টি অনুষদের ডিন নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী হলুদ প্যানেল থেকে ছয়জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ডিনদের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে উপাচার্য ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এসব ডিনকে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত স্বপদে থাকার নির্দেশ দেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী ও ডিনদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেখানে ডিনরা তাঁদের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
এদিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এস এম একরাম উল্ল্যাহ বলেন, ‘আজ কী হয়েছে, সেটা জানি না। তবে আমরা জানিয়েছি, আমরা দায়িত্ব পালন করতে ইচ্ছুক না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই একটি সমস্যার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছিলাম, যার একটি সুরাহা হতে চলেছে। আগামীকাল (সোমবার) অফিশিয়ালি আমরা জানাব।’
এর আগে আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবিতে আজ সকাল ১০টার দিকে ডিনস কমপ্লেক্সে যান শিক্ষার্থীরা। পরে ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত এই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা। ডিনদের কেউ আজ নিজেদের বিভাগে ক্লাসে যাননি।
পরে বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে এসে তাঁদের দাবি জানান। এ সময় শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল দাবি আদায়ের আগে রেজিস্ট্রার ভবন ত্যাগ না করার ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরসহ সহ-উপাচার্য ও প্রক্টর দপ্তরেও তালা ঝুলিয়ে দেন। প্রায় আধা ঘণ্টা তালাবদ্ধ রাখার পর খুলে দেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য, প্রক্টর ও জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সভায় বসেন। সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাতে আরেকটি সভা ডাকা হবে বলে ওই সভা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতি, ডিন, সিন্ডিকেট, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি এবং শিক্ষা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১২টি অনুষদের ডিন নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী হলুদ প্যানেল থেকে ছয়জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ডিনদের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে উপাচার্য ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এসব ডিনকে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত স্বপদে থাকার নির্দেশ দেন।

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর
০৫ মার্চ ২০২৫
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় লোকমান হোসেন ভূঁইয়া নামে এক কাঠমিস্ত্রিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রায়েরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
১০ মিনিট আগে
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের খাওখীর গ্রামের উত্তর পাশে কালিজিরা খালের পাড়ে মনির তালুকদারের জমি থেকে মালিকানাবিহীন এসব আলু জব্দ করা হয়।
৩১ মিনিট আগে
নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন। পোস্টে তিনি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পোস্টে রাবির সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ লেখেন, ‘নিরাপত্তা না থাকায় ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া ও অন্যান্য একডেমিক কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দুঃখিত। আমার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব রয়েছে আমার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়া এবং প্রয়োজনে আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে আটশত শিক্ষকের প্রতি ক্লাসরুমে প্রবেশ করলে তাদেরকে কলার ধরে টেনে প্রশাসন ভবনের সামনে এনে বেঁধে রাখার অব্যাহত হুমকি দেয়া হলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সকল শিক্ষকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’
কাজী জাহিদ আরও লেখেন, ‘যেই মুহূর্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, সেই মুহূর্ত থেকেই আমার উপরে ন্যস্ত দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করবো ইনশাল্লাহ।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কাজী জাহিদ বলেন, ‘এভাবে জেনারেল নোটিশের মতো সংখ্যা উল্লেখ করে হুমকি দেওয়ার পর আমরা কোনোভাবেই নিরাপদ অনুভব করছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী সাত শতাধিক শিক্ষক যদি ফ্যাসিস্ট হয়, তাহলে সেখানে তো আমারও নাম আছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষকই তো রাজনীতি করে। বর্তমান প্রশাসনে থাকা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সেভাবেই আমাদেরও নাম আছে।’ নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলেও জানান কাজী জহিদ।
এর আগে গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারা নমনীয়তা উৎপাদন করবে, আমরা তাদের জুতা খুলে মুখে মারব ইনশা আল্লাহ। রাবিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি চাকরি করে, তাদের আগামী রোববার থেকে কলার ধরে টেনে টেনে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেঁধে রাখব।’
এ ছাড়া গতকাল শনিবার আম্মার এক পোস্টে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ ও ফ্যাসিজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে ‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ শীর্ষক কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষকেরা যদি এভাবে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে, তাহলে সমস্যা সৃষ্টি হবে। অনেক শিক্ষকই এভাবে নিরাপত্তা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’

নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন। পোস্টে তিনি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পোস্টে রাবির সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ লেখেন, ‘নিরাপত্তা না থাকায় ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া ও অন্যান্য একডেমিক কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দুঃখিত। আমার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব রয়েছে আমার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়া এবং প্রয়োজনে আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে আটশত শিক্ষকের প্রতি ক্লাসরুমে প্রবেশ করলে তাদেরকে কলার ধরে টেনে প্রশাসন ভবনের সামনে এনে বেঁধে রাখার অব্যাহত হুমকি দেয়া হলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সকল শিক্ষকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’
কাজী জাহিদ আরও লেখেন, ‘যেই মুহূর্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, সেই মুহূর্ত থেকেই আমার উপরে ন্যস্ত দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করবো ইনশাল্লাহ।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কাজী জাহিদ বলেন, ‘এভাবে জেনারেল নোটিশের মতো সংখ্যা উল্লেখ করে হুমকি দেওয়ার পর আমরা কোনোভাবেই নিরাপদ অনুভব করছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী সাত শতাধিক শিক্ষক যদি ফ্যাসিস্ট হয়, তাহলে সেখানে তো আমারও নাম আছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষকই তো রাজনীতি করে। বর্তমান প্রশাসনে থাকা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সেভাবেই আমাদেরও নাম আছে।’ নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলেও জানান কাজী জহিদ।
এর আগে গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারা নমনীয়তা উৎপাদন করবে, আমরা তাদের জুতা খুলে মুখে মারব ইনশা আল্লাহ। রাবিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি চাকরি করে, তাদের আগামী রোববার থেকে কলার ধরে টেনে টেনে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেঁধে রাখব।’
এ ছাড়া গতকাল শনিবার আম্মার এক পোস্টে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ ও ফ্যাসিজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে ‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ শীর্ষক কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষকেরা যদি এভাবে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে, তাহলে সমস্যা সৃষ্টি হবে। অনেক শিক্ষকই এভাবে নিরাপত্তা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর
০৫ মার্চ ২০২৫
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় লোকমান হোসেন ভূঁইয়া নামে এক কাঠমিস্ত্রিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রায়েরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
১০ মিনিট আগে
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের খাওখীর গ্রামের উত্তর পাশে কালিজিরা খালের পাড়ে মনির তালুকদারের জমি থেকে মালিকানাবিহীন এসব আলু জব্দ করা হয়।
৩১ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
১ ঘণ্টা আগে