পোস্টারের দড়ি ছেঁড়ার অভিযোগে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় তিন কিশোরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নৌকার চেয়ারম্যানপ্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। মারধরের পর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ফাগুয়ারদিয়ার ইউনিয়নের দোলগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই তিন কিশোর হলো-শিহাব হোসেন (১৬), ইশরাক হোসেন (১৭) ও মেহেদী হাসান (১৮)। এদের মধ্যে শিহাব সাতশৈল গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে ও এসএসসি পরীক্ষার্থী। ইশরাক ও মেহেদির বাড়ি রাজশাহীতে। তারা ওই গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে মোটরসাইকেলে শিহাব, ইশরাক ও মেহেদি দোলগ্রাম পার হচ্ছিল। এ সময় এক কর্মী নৌকার চেয়ারম্যানপ্রার্থী জহুরুল ইসলামের পোস্টার সাঁটানো দড়ি বাঁধছিলেন। দড়ির একপ্রান্ত নিচু হওয়ায় মোটরসাইকেল অতিক্রম করার সময় ছিঁড়ে যায়। এ সময় ওই ব্যক্তি তাদের থামতে বললে তারা দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে নৌকার প্রার্থীর কয়েকজন কর্মী আরেকটি মোটরসাইকেলে গিয়ে তাদের পথরোধ করে। এ সময় তিনজনকে ধরে আটকে রাখা হয়।
শুক্রবার রাতে হাসপাতাল থেকে কিশোর শিহাব অভিযোগ করে বলেন, ‘চেয়ারম্যান খুব ভালো মানুষ এবং তিনি আসলে আমাদের ছেড়ে দেবেন বলে বসিয়ে রাখা হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান এসে আমাদের চড়-থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে তিনি আমার বুকের ওপর পা তুলে দেন। পরশু আমার এসএসসি পরীক্ষা বললেও চেয়ারম্যান কোন কথা শোনেননি। পরে আমাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে ঘটনাটি জানতে চাইলে আমরা সম্পূর্ণ ঘটনাটি জানিয়েছি।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার চেয়ারম্যানপ্রার্থী অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম দিনেই আমার পোস্টার ছেঁড়ার বিষয়টি সমর্থকেরা ভালোভাবে নেয়নি। এ জন্য তিন কিশোরকে কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল। পরে আমি গিয়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছি। তাদের মারার অভিযোগটি সত্য নয়। তবে পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনায় আমি সকালে অভিযোগ দায়ের করব।’
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পোস্টার ছেঁড়ার মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’