রংপুরের পীরগাছায় পুকুর থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের রমজান আলী মুন্সি কলেজের পাশের পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূর নাম মাসুদা বেগম (৩৭)। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। তাম্বুলপুর গ্রামের সাইকেল মিস্ত্রি রফিকুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী তিনি।
নিহত গৃহবধূর ভাইয়ের দাবি, তাঁর বোনকে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আর স্বামীর পরিবার দাবি করছেন, তিনি মৃগীরোগী ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী মাসুদা বেগম। তাঁর ঘরে তিন সন্তান রয়েছে। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় ঠিকমতো ভরণপোষণ দিতেন না। তাই এক সন্তানকে দত্তক দেওয়া হয়েছে। তিনি স্বামীর বাড়িতে দুই সন্তান নিয়ে থেকে অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন। আর স্বামী দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে পাশে আরেক বাড়িতে থাকতেন।
গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে মাসুদা বেগমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে মাসুদার মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে থানা-পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের ভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বোনকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। না হলে তার স্বামী ও ভাশুর কেন পলাতক থাকবে। তারা তো কোনো ভরণপোষণ দিত না। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’
এ বিষয়ে নিহতের শাশুড়ি সুফিয়া বেগম বলেন, মাসুদা বেগম মৃগীরোগী ছিলেন।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা দায়ের হবে।