গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ ১৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামের তিস্তার শাখা নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত শিশুর নাম মো. মহসিন মিয়া (৬)। সে উপজেলার তালুক বেলকা গ্রামের মিস্ত্রিপাড়ার মো. নওশা মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় শ্যামরায়ের পাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুশ্রেণির শিক্ষার্থী।
এর আগে গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ওই ইউনিয়নের তালুক বেলকা গ্রামের তিস্তার শাখা নদীতে বাবার সঙ্গে মাছ ধরেতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল শিশুটি।
স্থানীয়রা জানান, মুঠোজালে মাছ ধরছিলেন নওশা মিয়া। সঙ্গে ছিল তাঁর শিশুসন্তান মহসিন। একপর্যায়ে ওই শিশু নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর থেকেই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, পুলিশ ও স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধারে সন্ধান চালায়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও তারা উদ্ধারে বার্থ হয় এবং রাত হওয়ায় বন্ধ করা হয় উদ্ধার অভিযান।
এদিকে প্রবল স্রোতের কারণে ওই শিশুর মরদেহ তিস্তার শাখা নদীতে ভেসে যায়। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে কিশামত সদর গ্রামের কাজিউলের দোকানসংলগ্ন নদীতে থাকা একটি গাছের গুঁড়িতে মরদেহটি আটকে যায়। আজ সকালে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে স্বজনদের খবর দেয়। পরে স্বজনেরা শনাক্ত করে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
সুন্দরগঞ্জে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।