লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল করার অভিযোগে জনতার হাতে আটক ছাত্রলীগ নেতা শাকিলুজ্জামান শাকিলকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেন হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) নির্মল কুমার মোহন্ত।
জেলহাজতে থাকা শাকিলুজ্জামান শাকিল উপজেলার সিংগীমারী এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি আলিমুদ্দিন সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হকের সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছাত্রলীগ নেতা শাকিলুজ্জামানের ভাই হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মচারী আজমীর আলমের। বড় ভাইয়ের বিরোধপূর্ণ জমি দখলে নিতে শুক্রবার দলবল নিয়ে ওই জমিতে খুঁটি দেন ছাত্রলীগ নেতা শাকিলুজ্জামান। এতে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের ভাই মায়ানুর রহমান পলাশ বাধা দিলে তাঁকে বেদম মারধর করেন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন ভাই আমিনুর রহমান, ভাতিজা আরমান ও প্লাবন। এতে উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী মিলিত হয়ে ছাত্রলীগ নেতাসহ হামলাকারীদের ১৪ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরমান ও প্লাবন এবং অপরপক্ষের আজমীর আলম ও মিনারুল ইসলাম হাবিবকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে হামলাকারীদের ২০ জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নওদাবাস ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই মিজানুর রহমান। এ মামলায় আহত আজমীর ও মিনারুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মামলায় গতকাল আদালতে সোপর্দ করা হলে ১৪ জনের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা শাকিলুজ্জামান ও তাঁর ভাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী আজমীরসহ চারজনের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
ওসি নির্মল কুমার মোহন্ত বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তাঁদের দুজনকে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
