গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নানার বাড়িতে তামিম হাসান উমর নামে ৫৫ দিন বয়সের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ গ্রামের নানার বাড়িতে মারা যায় শিশুটি।
রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম। এর আগে সন্ধ্যার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। বর্তমানে শিশুটির মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে।
নিহত শিশুটি ওই ইউনিয়নের কিয়ামত সর্বানন্দ গ্রামের মো. বাবলু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় শিশুর নানা মো. এজাহার আলী ও নানি মোছা. খতেজা বেগমকে আটক করছে থানা-পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, বাবলু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সিরাজগঞ্জে থাকতেন। বছর তিনেক আগে তিনি বিয়ে করেন। দু-তিন মাস যেতে না যেতেই তাঁদের দাম্পত্য জীবনে বিরোধ দেখা যায়। সর্বশেষ মাস খানিক আগে বাবলু মিয়া বাড়িতে এসেছিলেন। ছেলে সন্তানসহ স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে রেখে কর্মস্থল সিরাজগঞ্জে যান। স্বামী বাবলু মিয়াকে না বলে স্ত্রী মোছা. আশা মনি গত শুক্রবার তাঁর বাবার বাড়িতে আসেন। শিশুটির শরীরে বিভিন্ন দাগ রয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ছেলের বাবা মো. বাবলু মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা ছিল না। তা ছাড়া আমাকে না বলে আমার স্ত্রী তাঁর বাবার বাড়িতে গিয়েছিলেন। এ বিষয়ে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিচ্ছি।’
ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, ‘স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে এখনো ক্লিয়ার না। তদন্ত চলছে। প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিশুটির নানা ও নানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।’