মোট ভোটার ২ হাজার ১৭ জন। সকাল থেকে তিন ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন মাত্র ১৫৫ জন। কেন্দ্রের নাম নাপিতের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে প্রায় সব কটি কেন্দ্রের দৃশ্য এমনই। তীব্র শীত, ভোটদানে অনীহা, ভোটের অতীত অভিজ্ঞতায় অভিমানসহ নানা কারণে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম।
গত ১২ অক্টোবর চরম অনিয়মের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ আসনে পুনরায় ভোটগ্রহণ চলছে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে। বেশ কিছু কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, তিন ঘণ্টা বেশি সময় পার হওয়ার পরও ভোটারের ভিড় জমেনি কোনো কেন্দ্রে। কোথাও ৭০ ভোট, কোথাও ২০০ আবার কোথাও এর কম ভোট পড়ছে।
বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই তিন ঘণ্টায় প্রায় ১০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি মিলেছে।
গাইবান্ধার ফুলছড়ির নাপিতের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি কম। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান, তিন ঘণ্টায় ১৫৫ জন ভোট দিয়েছেন। তিনি বলেন, শীতের কারণে ভোটার কম। তবে বেলা বাড়লে ভোটাররাও আসবেন।
ফুলছড়ি উপজেলার বুরাইল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ২৪২৩ ভোটের মধ্যে পৌনে বারোটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২৫০টি।
সাঘাটার উল্লাসেনাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ২ হাজার ৫৬৭ ভোটারের মধ্যে কোনো কক্ষে ১৪, কোনো কক্ষে ১৫ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন।
প্রচণ্ড শীত ছাড়াও গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোটারদের মধ্যে ভোটে অনীহা লক্ষ করা যায়। সাঘাটার ওসমানপাড়া গ্রামের এক বাসিন্দা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, মানুষ ভোট দিতে চায় না। এক ভোট কয়বার দেব?