লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যু রহস্যজনক মনে হওয়ায় পুলিশ স্বামীকে আটক করেছে।
আজ সোমবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। মৃত গৃহবধূর নাম মনজুনা খাতুন (৩৬)। উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের পাঠানটারী গ্রামের মন্টু মিয়ার (৪৫) স্ত্রী ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি গ্রামের মনছুর আলীর মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনজুনা খাতুনের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছে মন্টু মিয়ার। গতকাল রোববার রাতে নিজ বাড়িতে হঠাৎ মৃত্যু হয় মনজুনা খাতুনের। তবে মৃত্যুর বিষয়টি গোপনে রাখেন এবং বাড়িতে কাউকে প্রবেশ করতে দেননি মন্টু মিয়া। আজ সকালে বিষয়টি জানতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মন্টু মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
সারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, ‘মনজুনা মন্টু মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীকে রিকশা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছিল মন্টু। এ ঘটনায়ও মামলা হয়েছিল। আবার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে মনজুনাকে বিয়ে করলেও সংসার সুখের ছিল না। প্রায় স্ত্রীকে মারপিট করত বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছি।’
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, ‘গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মন্টু মিয়াকে আটক করা হয়েছে।’