লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় মানিকুল ইসলাম (২৫) হত্যা মামলার মূল হোতা সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের পাইকারটারী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে, তদন্তে সিরাজুল ইসলামের নাম উঠে এসেছে। তিনি এ হত্যার ঘটনায় মূল হোতা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার মূল রহস্য বের হবে।
এর আগে, গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার রমনীগঞ্জ এলাকার ভুট্টা খেত থেকে মানিকুলের মাথাহীন মরদেহ ও পরদিন পাশের বাঁশঝাড়ের গর্ত থেকে মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার শিকার মানিকুল ইসলাম একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিলেন। গ্রেপ্তার সিরাজুল ইসলাম একই গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে সিঙ্গিমারী গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে বাবুলের একটি ভ্যান চুরি হয়। চুরির ঘটনায় মানিকুলকে সন্দেহ করেন বাবুলের পরিবারের লোকজন। এ ঘটনার চার দিন পর থেকে মানিকুল নিখোঁজ ছিলেন। গত শুক্রবার বিকেলে ভুট্টাখেতে তাঁর মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল সোমবার উপজেলা পরিষদ গেটে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার ক্লু উদ্ধারসহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে দাবি জানানো হয়। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেন গ্রামবাসী।
হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ক্লুলেস হত্যা মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকা সন্দেহে এ ঘটনার মূল হোতা সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার মূল রহস্য বের হবে।