বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে মামলা–বাণিজ্য হচ্ছে। মামলা না দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হয়, আবার দেওয়ার পর নাম কাটার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। শুধু তা–ই নয়, অলরেডি বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে জাতীয় নাগরিক কমিটি আয়োজিত ‘রাইজিং ঠাকুরগাঁও’ এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ী সমিতিকে রাতের বেলায় বাসায় ডেকে নেওয়া হয়। সেখান থেকে টাকার অ্যামাউন্ট ফিক্সড করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই আগস্টের ৩ ও ৪ তারিখ ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মিছিল দেখে আমাদের শরীর শিউরে উঠেছিল। সেই ঠাকুরগাঁও যদি এই রকম চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজি ও এ রকম বাণিজ্য চলতে থাকে, তাহলে মনে হচ্ছে অভ্যুত্থানকে পুঁজি করে টিস্যু পেপারের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষাকে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে কেউ যদি এই অবস্থানকে পুঁজি করে মামলা–বাণিজ্য করে, মামলা দিয়ে মানুষকে জিম্মি করে কোর্টে চক্কর দেখায়। সে যে–ই হোক, আমি তার বিরুদ্ধে কথা বলবই।’
সারিজস আলম সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যদি সত্য তথ্য প্রকাশ করতে অন্যায়ভাবে কোনো জায়গায় হুমকি কিংবা চাপের মুখে পড়েন, অনুগ্রহপূর্বক আমাদের জানাবেন, নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আপনাদের পাশে দাঁড়াব।’
ঠাকুরগাঁও জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে ঠাকুরগাঁও রাইজিং বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে ঠাকুরগাঁও জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন সমন্বয়ক, সহসমন্বয়কেরা উপস্থিত ছিলেন।