নীলফামারী সদরের কানিয়ালখাতা দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে একজনের জায়গায় অন্যজনের ছবি, নামের বানানে ক্রটিসহ বিভিন্ন ভুল ধরা পড়েছে। এমন ভুলে ভরা প্রবেশপত্র নিয়ে তাদের আসন্ন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে তারা আজ সোমবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। তবে প্রধানের দাবি, এগুলো বড় ভুল নয়।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানপ্রধানের অবহেলায় ৩৪ শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে এমন ভুলগুলো হয়েছে। একজনের প্রবেশপত্রে অন্যজনের ছবি লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া নামের বানান, জন্ম তারিখ ও বাবা–মায়ের নাম ভুল দেখা গেছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আজ শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেওয়া হলে এসব ভুল ধরা পড়ে।
দাখিল পরীক্ষার্থী লিপন ইসলাম বলে, ‘প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে দেখি আমার ছবির স্থলে অন্যজনের ছবি লাগানো। এই প্রবেশপত্র দিয়ে আমাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেবে কি? প্রবেশ করতে দিলেও তো পরীক্ষার হলে যাচাইকালে আমি অবৈধ হব।’
নুর জামান ইসলাম নামের আরেক পরীক্ষার্থী বলে, ‘আমার জন্মনিবন্ধনসহ সব কাগজপত্রে মায়ের নাম আছে মমেনা বেগম। কিন্তু আজকে প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে দেখি নাম হয়েছে মমবানা বেগম। স্যারকে ভুলের কথা বললে তিনি বলেন এগুলো কোনো ভুল নয়।’
পরীক্ষার্থী নাঈম ইসলাম বলে, ‘আমার জন্ম তারিখ ১২ আগস্ট ২০০৮। কিন্তু দাখিল পরীক্ষার প্রবেশপত্রে দেওয়া হয়েছে ১০ আগস্ট ২০০৮। পরে এগুলো সংশোধন আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর হবে। আমরা অতি দ্রুত প্রবেশপত্র সংশোধন চাই।’
জানতে চাইলে মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো. সাবেদ আলী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা নিয়মিত মাদ্রাসায় না আসায় কিছু ভুল হয়েছে। যেগুলো খুব বড় ধরনের নয়। এগুলো সংশোধন করার জন্য বোর্ডের দরজা সব সময় খোলা রয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে নীলফামারী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে ঈদুল ফিতরের আগেই প্রবেশপত্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। যাতে কোনো ভুল দেখা গেলে সংশোধন করা যায়। দাখিল পরীক্ষার প্রবেশপত্রে যে ভুলগুলো হয়েছে, এর সম্পূর্ণ দায়ভার প্রতিষ্ঠানপ্রধানের।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান জানান, ভুল সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১০ এপ্রিল থেকে সারা দেশে দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।