চরম অনিয়মের কারণে গত ১২ অক্টোবর বন্ধ হয়ে যাওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১৪৫টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তীব্র শীতের কারণে ভোটার উপস্থিতি সকাল থেকে কিছুটা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।
নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে এবারও সব কটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৩ হাজার সদস্য। নির্বাচনী মাঠে আছে র্যাবের আটটি টিম, র্যাবের একটি বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, পাঁচ প্লাটুন বিজিবি, পাঁচটি স্ট্রাইকার ফোর্স, ১৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, দুজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ছয়টি মোবাইল টিম।
কেন্দ্রগুলোতে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ১৪৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৯৫২ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ১ হাজার ৯০৪ জন পোলিং কর্মকর্তা। কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চরাঞ্চলের প্রতিটি কেন্দ্রে ১০ জন করে পুলিশ সদস্য ও ১২ জন আনসার সদস্য রয়েছেন। তবে সমতল এলাকার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে আনসারের পাশাপাশি চার জন পুলিশ সদস্য রাখা হয়েছে।
এই আসনের সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন ভোটার ভোট দেবেন। তাঁদের মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৬২ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৪২ জন। দুই উপজেলায় সমতলে ১১৩টি ও চরাঞ্চলে ৩২টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন নৌকা প্রতীক, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু লাঙল প্রতীক, বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম কুলা প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো. মাহবুবুর রহমান ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে আপেল প্রতীকের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। গত বছরের ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।