ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও সদরে শাহনাজ আক্তার (২০) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক।
গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ। তিনি বলেন, ‘লাশের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। লাশ ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
নিহত শাহনাজ আক্তার জেলার সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কাঁচনা এলাকার শাহজাহানের মেয়ে। এ ছাড়া তিনি একই উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে বিশাল রহমানের (২২) স্ত্রী।
স্থানীয় লোকজন ও নিহতের স্বজনেরা জানান, প্রায় এক বছর আগে সম্পর্কের জেরে বিয়ে হয় শাহনাজ আক্তারের সঙ্গে বিশালের। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের টাকার জন্য তাঁকে মারধর করতেন।
আজ শুক্রবার ভোরে বিশালের বাড়ি থেকে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। এরপর তাঁরা শাহনাজকে বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। প্রতিবেশীদের দেখে দ্রুত পালিয়ে যান বিশাল ও তাঁর মা-বাবাসহ পরিবারের লোকজন।
হত্যার বিচার চেয়ে নিহত শাহনাজের বাবা শাহজাহান কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘তারা দুজনে ভালোবেসে বিয়ে করে। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটিকে তার স্বামী, শ্বশুর ও দেবর গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এর আগেও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন শাহনাজকে মারধর করত।’
রহিমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান বলেন, ‘বিশাল বেকার ও উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করে। তার বিরুদ্ধে পরিষদে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।’