জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
নীলফামারীতে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন মার্কেটে জমে উঠেছে কেনাকাটা। সেই সঙ্গে ফুটপাতের দোকানেও ভিড় বেড়েছে। কেনাকাটায় তুলনামূলকভাবে নারী ক্রেতাদের সমাগম বেশি লক্ষ করা গেছে।
ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মার্কেট ও দোকানগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ভিড়। জেলা সদরে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ভিড় থাকলেও সৈয়দপুর শহরের দোকানগুলো রাত ১টা পর্যন্ত জমজমাট থাকছে।
নীলফামারী পৌর মার্কেটে পরিবার নিয়ে পোশাক কিনতে আসা সরকারি কর্মচারী আসাদুর রহমান জানান, রমজানের শেষের দিকে বাজারে অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে তাঁরা আগেভাগেই ঈদের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। তবে তাঁর অভিযোগ, এবার পোশাকের দাম গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি।
বিক্রেতারা জানান, ঈদ ঘিরে মেয়েদের পোশাকের মধ্যে আলিয়া কাট, নায়রা ও আলিফ লায়লা এবং ছেলেদের পোশাকের মধ্যে বোম্বে সিল্ক, সিকোয়েন্স, সুলতান ও সুলতান কিং পাঞ্জাবি বেশি সাড়া ফেলেছে।
ঢাকা ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী নাজমুল হোসাইন মিলন জানান, এ বছর ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে থাকা মেয়েদের আলিয়া কাট বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। আর ছেলেদের সিকোয়েন্স পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়। সৈয়দপুর সুপার মার্কেটের সাজু ক্লথ স্টোরের মালিক মোহাম্মদ সাজু বলেন, ‘রোজার শুরু থেকে ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে। আশা করছি এবার বিক্রি ভালো হবে।’
পোশাকের পাশাপাশি নারী ক্রেতারা প্রসাধনের দোকানেও ভিড় করছেন। শহীদ ডা. শামসুল হক সড়কের প্রসাধন ব্যবসায়ীরা জানান, এবার ক্রেতা বেশি, কেনাবেচাও বেশি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টানা বেচাকেনা চলছে। এ ছাড়া বেড়েছে জুতা-স্যান্ডেলের বিক্রি।
নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্লোল কুমার দত্ত বলেন, ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা যেন নির্বিঘ্নে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে। মার্কেটগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাদা পোশাকেও পুলিশ নজরদারি করছে।