Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > রংপুর

ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ১ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় চিলমারী নৌবন্দর পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

এদিকে নদের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। চিলমারী ইউনিয়নের করাইবরিশাল, শাখাহাতি মনতোলা এলাকায় গত এক মাসে ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে দেড় শতাধিক পরিবার। ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে প্রায় ২০০ পরিবার। এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে শত শত একর আবাদি জমি। এ ছাড়া হুমকিতে রয়েছে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অর্ধশত কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত বৈদ্যুতিক সাবমেরিন কেব্‌ল।

জানা গেছে, চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের রাজারভিটা, পুঁটিমারি, পুঁটিমারি কাজলডাঙ্গা, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নয়াবস, চর উদনা, চর বড়ভিটা, হকের চর, রমনা মডেল ইউনিয়নের মিস্ত্রিপাড়া, রমনা খামার, টোনগ্রাম, ব্যাপারীপাড়া, নয়ারহাট, অষ্টমীর চর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকাসহ নিম্নাঞ্চলের প্রায় ১ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, উজানে ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় চিলমারী ইউনিয়নটি তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে।  

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চিলমারী ইউনিয়নের করাই বরিশাল, মনতোলা শাখাহাতি এলাকার বাসিন্দারা ঘরবাড়ি, দোকান ভেঙে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে কেটে নিচ্ছেন তাঁদের গাছ ও বাঁশ।  

চিলমারী ইউনিয়নের করাই বরিশাল এলাকার আমেনা বেগম বলেন, ‘বাড়িতে আগুন লাগলে জমি পাওয়া যায়, কিন্তু নদী ভাঙলে কিছুই পাওয়া যায় না। যেভাবে নদী ভাঙছে, এতে হামার বাড়ি-ঘর-জমি বিলীন হয়া যাইবে, তাই বাড়ি-ঘর ভাঙি নিয়ে যাই। চিন্তায় আছি কই যে থাকমো কিছুই কবার পাবার লাগছি না।’ 

চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনে ঘরবাড়ি, শত শত একর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত সাবমেরিন কেব্‌লটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গেলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই।  

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা ত্রাণসহায়তা বিতরণ অব্যাহত রেখেছি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আবারও পানি বাড়ার ফলে যেসব এলাকা প্লাবিত হচ্ছে, আমরা সেদিকে বাড়তি নজর রাখছি।’ 

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা আর দু-এক দিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকতে পারে।

হত্যাসহ ৪ মামলায় পঞ্চগড়ে ছাত্রলীগের সভাপতি কারাগারে

জমি চাষের সময় ট্রাক্টরের ফলায় প্রাণ গেল যুবকের

রংপুরের তিন কলেজে ছাত্রদলের আংশিক কমিটি

গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, পাঁচ যুবক গ্রেপ্তার

পঞ্চগড়ে আটক ৮ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২

আমাদের কর্মীরা বিশৃঙ্খল নয়, দেশ গড়ার ক্ষেত্রেও তারা দায়িত্বশীল: জামায়াতের আমির

গঙ্গাচড়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আংশিক কমিটি গঠন

নতুন কার্ড এল ৭০০০ দুশ্চিন্তায় ৩৪০০০

তারাগঞ্জের সেই মাঠে নারীদের ফুটবল ম্যাচ