রংপুরের পীরগাছায় চাচাতো ভাইয়ের লাঠির আঘাতে এমদাদুল হক (৪৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে হামলার ওই ঘটনায় আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত এমদাদুল হক উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের গঙ্গানারায়ণ গ্রামের মৃত নজ্জম আলীর ছেলে।
নিহতের ভাই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এমদাদুল হকের চাচাতো ভাই মৃত বাবু কাশেমের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, জাফর আলী ও বুদা মেম্বারের ছেলে আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজনের সঙ্গে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। গতকাল শনিবার রাতে এমদাদুল হকের বাড়িতে লোকজন নিয়ে জাহিদুল ইসলাম হামলা চালায়। তাতে চারজন গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় খলিলুর রহমান ও এমদাদুল হককে প্রথমে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আজ রোববার ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এমদাদুল হক মারা যান।
এদিকে নিহতের আরেক ভাই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় মামলা করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ জাহিদুল হকের স্ত্রী লিপি বেগম (২৮) ও রিয়াজুল হকের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে (৪৫) আটক করে।
নিহতের অপর চাচাতো ভাই জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওরা দলবল নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই এবং মূল আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিহতের ভাই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীকে আটক করা হয়েছে।