খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। মন্ত্রী আসার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই খানসামা উপজেলার সব বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তালাবদ্ধ দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানের সামনে মূল সাইনবোর্ডও খুলে ফেলা হয়।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পাকেরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা থেকে চলে যাওয়ার পর দুপুরের দিকে ধীরে ধীরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়।
আজ শনিবার সকালে পাকেরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়ক ও বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ডে–নাইট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আধুনিক ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার তালাবদ্ধ দেখা যায়। মূল সড়কের পাশে অবস্থিত প্রাইম ডায়াগনস্টিকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নামফলকও খুলে রাখা হয়েছে। সেবা নিতে আসা অনেক রোগীকেএ এসব ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায়।
খানসামা উপজেলার পাকেরহাট এলাকায় ৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ৩টি ক্লিনিক রয়েছে। এগুলো কোনোটির অনুমোদন নেই। তবে সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, তাঁরা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছেন। সেটির অপেক্ষায় আছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের কাগজপত্র না থাকায় অভিযানের খবর শুনলেই সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে রাখে তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকদের সঙ্গে আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদক কথা বলতে চাইলে তাঁরা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এটিএম ওবায়দুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের কাগজপত্র হালনাগাদ করা, সেবার মান বৃদ্ধি করা ও অনিবন্ধিত চিকিৎসকের সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেবা কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না।’
এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ, এনসিডি (অসংক্রামক রোগ) কর্নার, লেবার ওয়ার্ড ও ওটি (অপারেশন থিয়েটার) রুম পরিদর্শন করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এনসিডি কর্নারে নিজের রক্তচাপ পরীক্ষা করান।